|
|
|
|
দেউলঘাট সংস্কারে আশ্বাস পর্যটনমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আড়শা |
অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া আড়শার মন্দির ক্ষেত্র দেউলঘাটার রেখ দেউলগুলির সংরক্ষণে উদ্যোগী হবে রাজ্য সরকার। সোমবার ওই প্রত্নস্থল ঘুরে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পযটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ।
কংসাবতী তীরের এই মন্দির ক্ষেত্র সম্পর্কে সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ অনেক দিনের। শুধু পুরুলিয়ার মানুষজনের কাছেই নয়, লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাদের কাছেও এই মন্দির ক্ষেত্র আদর্শ ‘পিকনিক-স্পট’। জেলার মন্দির গবেষক সুভাষ রায়ের কথায়, “এই মন্দির ক্ষেত্রের দেউলগুলি নবম শতাব্দীর তৈরি। ইতিহাস ঘেঁটে যা জানা যায়, জৈন আমলে পোড়াইটে নির্মিত এই দেউলগুলি গড়ে উঠেছিল। পরবর্তী কালে পাল যুগে এখানে আরও কয়েকটি পাথরের মন্দির তৈরি হয়েছিল। পুরাতত্ত্ববিদ পরেশচন্দ্র দাশগুপ্তের পুরুলিয়ার পুরাকীর্তি গ্রন্থতেও দেউলঘাটার ছ’টি মন্দিরের কথা রয়েছে।” সুভাষবাবু জানান, ২০০২ সালেও এখানে ৩টি রেখ দেউল ছিল। ওই বছরই ৩০ সেপ্টেম্বর একটি মন্দির ধসে পড়ে। |
|
রেখ দেউল। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
পাশাপাশি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ইটে শীতের মরসুমে চড়ুইভাতির দলের রান্না করার অভিযোগও উঠেছে। সুভাষবাবুর অভিযোগ, “এ সব থেকেই স্পষ্ট, এই দেউলগুলির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে সরকার উদাসীন। এই প্রত্নসম্পদ রক্ষায় কারও হেলদোল নেই।”
এ দিন পযটনমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, এই সমস্ত প্রত্নস্থলের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যা কাজ হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। সরকার বিষয়টি সম্পর্কে উদ্যোগী হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “আমি সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম। যেহেতু পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্কারকাজ করেছিল, তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেউলঘাটার মন্দিরগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব।” পাশাপাশি এই মন্দির ক্ষেত্র ঘুরে দেখে তিনি পযটকদের জন্য বসার জায়গা, সুলভ শৌচাগার গড়া, আলো লাগানো-সহ নানা পরিকাঠামো তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন। পযটকদের কাছে দেউলঘাটাকে তুলে ধরতে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্টেশনে মন্দিরের ছবি-সহ হোর্ডিং দিয়ে প্রচারও করবে পর্যটন দফতর।
পুরুলিয়ায় এই মুহূর্তে আতঙ্কের পরিবেশ নেই দাবি করে দেউলঘাটায় দাঁড়িয়ে রচপাল জানান, পর্যটকেরা যাতে আরও বেশি এখানে আসেন, সে লক্ষ্যে পঞ্জাবের রায়পুরের আদলে এখানকার ঐতিহ্যশালী লৌকিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে মেলা করা হবে। এ দিন পযটনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জয়পুরের বিডিও মেঘনা পাল। তিনি বলেন, “এখানকার পযটন সম্ভাবনা মন্ত্রী নিজে দেখে গিয়েছেন। এ বার কোনও নির্দেশ এলে দ্রুত তা কার্যকর করব।” |
|
|
|
|
|