দুটি বিষয়: অসাধারণ অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক নিবন্ধে (৪-৪) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এক জায়গায় লিখেছেন, গ্রামাঞ্চলে তবু এখনও কিন্তু চড়াই দেখা যায়। চড়াই পাখি (ইংরেজি নাম House Sparrow, বৈজ্ঞানিক নাম Passer Domesticus) এখন কিন্তু গ্রামের দিকেও খুব বেশি নজরে পড়ে না। এর কারণ, গ্রামাঞ্চলেও ইদানীং প্রচুর পরিমাণে পাকা বাড়ি এবং আর সি ছাদ হওয়ায় চড়াই পাখিরা বাসা তৈরির জায়গা পাচ্ছে না।
এ ছাড়াও গ্রামের চতুর্দিকে বড় বড় মোবাইল টাওয়ার থেকে বিচ্ছুরিত ইথার তরঙ্গের কম্পনজনিত কারণে চড়াই পাখিরা বন্ধ্যাত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটাও চড়াই পাখি দ্রুত হ্রাসের অন্যতম কারণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে ধানের মাঠে ভোরুই পাখি শিকারের সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী-চড়াই পাখিও (অনেকটা ভোরুই পাখির মতো দেখতে) বড় বড় জাল দিয়ে শিকার করা হচ্ছে এবং হোটেলে দশ টাকা থেকে কুড়ি টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। |
শুধু চড়াই নয়, বাংলার গ্রামাঞ্চলে ইদানীং অন্য কয়েকটি পাখিও খুব বেশি দেখা যায় না যেমন পানকৌড়ি, শামুকখোল, সরাল, বালিহাঁস, তিতির, বনমুরগি, ডাহুক, সারস, বক, শকুন, চিল, বাজপাখি, জলপিপি, কাদাখোঁচা, হাট্টিটি, ঘুঘু, টিয়া, চন্দনা, বুলবুলি, ফুলটুসি, চোখ-গেল, কোকিল, কুবো, লক্ষ্মীপ্যাঁচা, ভুতুমপ্যাঁচা, মাছরাঙা, নীলকণ্ঠ, বসন্তবৌড়ি, কাঠঠোকরা, কাজল, ফিঙে, শালিক, ময়না, ছাতারে, দোয়েল, টুনটুনি, শ্যামা, ভোরুই, খঞ্জনা, মৌটুসি, চাতক, মুনিয়া, হরিয়াল, বাবুই প্রভৃতি।
তুষার ভট্টাচার্য। কাশিমবাজার, মুর্শিদাবাদ |