|
|
|
|
রাষ্ট্রপতি পদে শিবরাজের নাম নিয়ে ভাবনা কংগ্রেসে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রতিভা পাটিলের পরে দেশের সাংবিধানিক শীর্ষপদের জন্য আর এক পাটিলের নাম নিয়ে ঘরোয়া ভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের একটি বড় অংশে। তিনি শিবরাজ পাটিল। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও বেসরকারি ভাবে নামটি জানিয়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও কংগ্রেস এখনও শিবরাজের নামটি চূড়ান্ত করেনি। ফলে রাজধানীতে এই জল্পনাও শুরু হয়েছে যে, এটা হয়তো কংগ্রেসের কৌশল। আপাতত শিবরাজের নাম সামনে রাখায়, তর্ক-বিতর্ক যা কিছু হওয়ার, তাঁকে ঘিরেই চলতে থাকবে। পছন্দের আসল নামটি হয়তো সনিয়া গাঁধী ঘোষণা করবেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। যেমনটি করেছিলেন প্রতিভা পাটিলের ক্ষেত্রে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি তাদের শরিক জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে কথা বলেছে। সেখানে স্থির হয়েছিল, প্রণব মুখোপাধ্যায়কে যদি প্রার্থী করা হয়, তবে তাঁকে সমর্থন করা হতে পারে। তবে বিজেপি নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এক দফা আলোচনা সেরে নিলেও কংগ্রেসের তরফে কিন্তু এত দিন প্রণববাবু বা অন্য কারও নামের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। এই প্রথম শিবরাজের নামটি বিজেপি-র সামনে আসায় নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে শিবরাজের নামে আপত্তি নেই বিজেপি-র একটি বড় অংশের।
স্পিকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ সামলেছেন শিবরাজ। মুম্বই হামলার পর শিবরাজকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হলেও, বরাবরই তিনি দশ জনপথের অত্যন্ত আস্থাভাজন। আপাতত পঞ্জাবের রাজ্যপাল। রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই এই আলোচনা চলছিল যে, কবে এবং কী ভাবে আবার নয়াদিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে ফিরে আসবেন শিবরাজ।
আপাতত কংগ্রেসের প্রাথমিক কাজটি হল প্রধান শরিক তৃণমূলকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পাশে পাওয়া। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মোট ভোটের সংখ্যা দশ লক্ষের কিছু বেশি। কংগ্রেস যদি পাঁচ লাখের সামান্য বেশি ভোট নিশ্চিত করে নিতে পারে তবে সর্বদলীয় সম্মতির প্রয়োজন হবে না। সে কারণেই সরকারি ভাবে এনডিএ-র শরিকদের সঙ্গে সার্বিক কোনও আলোচনা কংগ্রেস করছে না। বরং প্রার্থীর নাম ঠিক করে নিয়ে যাঁদের যাঁদের দরকার আলাদা আলাদা করে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার কৌশল নিচ্ছে কংগ্রেস। তবে এখনও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা শুরু হয়নি। মমতাকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত হয়ে গেলে সনিয়া গাঁধী সরাসরি কথা বলবেন মমতার সঙ্গে। তার আগে কংগ্রেসের অন্য কোনও নেতার সঙ্গে যেন তিনি আলাদা ভাবে আলোচনা না করেন এ বিষয়ে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য রাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নামও আলোচনায় উঠে এসেছে। যদি শেষ পর্যন্ত এই নামটি প্রস্তাবে আসে, তা হলে মমতা হয়তো আপত্তি করবেন না, এমন ধারণা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ইউপিএ-র আর এক শরিক এনসিপি-র পক্ষ থেকে ঘরোয়া ভাবে তুলে ধরা হয়েছে প্রাক্তন স্পিকার পূর্ণ সাংমার নাম। এনসিপি-এর শীর্ষ স্তরের নেতার কথায়, “সাংমা একজন ক্যাথলিক এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি। আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ভবনে এমন কোনও প্রতিনিধি যাননি।” রাজনৈতিক সূত্রের খবর, কোনও কারণে তৃণমূল বা এনসিপি-কে পাশে না পেলে বসপা নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদবকে সঙ্গে নেওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা করবে কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে বিরোধীদের সমর্থন না পেলেও কংগ্রেসের প্রার্থিত ভোট এসে যাবে। |
|
|
|
|
|