‘দখলের অধিকারে’ প্রশাসনকে ফের বাধা দিল নোনাডাঙার বস্তি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যেরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক উচ্ছেদের পরে নোনাডাঙায় যে জঞ্জাল পড়ে রয়েছে, সোমবার তা সাফ করতে গিয়েছিল কেএমডিএ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা করতে দেননি। তবে, ওই এলাকায় বেড়া দেওয়ার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ এ দিনও হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ কেএমডিএ এবং পুলিশ বুলডোজার, লরি নিয়ে নোনাডাঙা বস্তি এলাকায় হাজির হন। তা দেখেই ছুটে আসেন বস্তি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যেরা। কেএমডিএ এবং পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের পাল্টা দাবি, জঞ্জাল নয়, বস্তির পড়ে থাকা কাঠামোগুলি ভাঙার জন্যই এ দিনের অভিযান চালানো হচ্ছিল। কয়েকটি কাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি। বস্তি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যেরা জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান চালানো হলে ফের বাধা দেওয়া হবে।
|
স্ট্র্যান্ড রোডে পৃথক দু’টি দুর্ঘটনায় রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মৃত্যু হল তিন জনের। পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ১টা নাগাদ কিংসওয়ে ও স্ট্র্যান্ড রোডের সংযোগস্থলে একটি গাড়ি বালি বোঝাই লরির পিছনে ধাক্কা মারে। ওই গাড়ির চালক ও এক আরোহীকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার রাত পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ। পুলিশ জানায়, স্ট্র্যান্ড রোডে মিলেনিয়াম পার্কের কাছে হাওড়ামুখী বেসরকারি বাসের ধাক্কায় প্রলয় কোলে (২৩) নামে এক যুবক মারা যান। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার সিঙ্গুরে।
|
কসবার ‘বেআইনি’ বাড়িটি ফের ভাঙতে যাওয়ার আগে এ বার র্যাফের সাহায্য চাইল পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, গত ১০ মার্চ পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িটি ভাঙার সময়ে মালিক ও প্রোমোটারের লোকেরা পুলিশের সামনেই পুরকর্মীদের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এর পরে বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেন পুরকর্মীরা। পরে ওই দুষ্কৃতীরাই স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়িতেও হামলা করে বলে অভিযোগ। সোমবার পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ডিজি (২) দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, ১০ তারিখে ওই বাড়িটির তিনতলার কিছু অংশ ভাঙা হয়েছিল। শীঘ্রই বাকি তলগুলিও ভাঙা হবে। তিনি বলেন, “এ বার ভাঙার কাজে স্থানীয় পুলিশ পুরো দায়িত্ব নিতে চাইছে না। তাই র্যাফের সাহায্য চেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” |