|
|
|
|
মত ওয়াশিংটনের |
শান্তিপ্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই হানা হক্কানির |
জয়ন্ত ঘোষাল • নয়াদিল্লি |
আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের শেষে সেনা প্রত্যাহারের আগে তালিবানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে আমেরিকা। কিন্তু এই মার্কিন প্রয়াসের তীব্র বিরোধিতা করছে পাকিস্তান-পন্থী হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠী। আমেরিকার গোয়েন্দা দফতর সূত্রের বক্তব্য, তালিবানের একাংশের সঙ্গে মার্কিন আলোচনাকে ভণ্ডুল করে দেওয়ার জন্যই গতকাল হক্কানি গোষ্ঠী কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। আজ নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
তালিবানের সব ছোট-বড় গোষ্ঠীর শীর্ষ মঞ্চ কোয়েটা শেরা। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ওমর। আমেরিকার পক্ষে আশার কথা, এই ওমর আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি নরমপন্থা নিয়ে চলছেন। এই কোয়েটা শেরা পাকিস্তান-পন্থীও নয়। কিন্তু এই হক্কানি গোষ্ঠী পুরোপুরি ভাবে পাক-পন্থী। বিশেষত এই গোষ্ঠীর নেতা জালালুদ্দিন হক্কানির পুত্র সিরাজুদ্দিন (যিনি আপাতত গোষ্ঠীর যাবতীয় কৌশল তৈরির মূলে)। চলতি মাসেই তালিবানের সামরিক নেতা মৌলবী মহম্মদ ইসমাইল আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকের কথা পরে জানতে পারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই। পাকিস্তানের এই দুই প্রতিষ্ঠানই আবার ‘হক্কানি নেটওয়ার্ক’-এর শক্তির উৎস। এবং আইএসআই বা হক্কানি গোষ্ঠীর উপর জারদারি সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
আর পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতার সুযোগে তালিবানের সঙ্গে দরকষাকষির প্রশ্নে হক্কানি গোষ্ঠীর ভূমিকা ক্রমশ বেড়েছে। হক্কানিরা তালিবানকে এ কথাই বলছে, আমেরিকার সঙ্গে কোনও রকম বোঝাপড়ার রাস্তায় যেন না যাওয়া হয়। তাদের যুক্তি, মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা এখনও কাটেনি। সব দিক থেকেই আমেরিকা এখন চাপের মধ্যে। কোনও ভাবেই প্রত্যাঘাতের জায়গায় নেই ‘দুর্বল’ আমেরিকা। ২০১৪ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তাই তালিবানের কাবুল দখল করে নেওয়া নিছক সময়ের অপেক্ষামাত্র। সে ক্ষেত্রে ওই শান্তি বৈঠকের কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয় হক্কানি গোষ্ঠী। তার পরে এই প্রত্যাঘাত।
তবে হক্কানির দেওয়া হুমকি হজম করতে নারাজ মার্কিন গোয়েন্দাবাহিনী। তাদের বক্তব্য, গতকাল কাবুলে ১৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে মারা গিয়েছে ৩৬ জন তালিবান জঙ্গি। অন্য দিকে মাত্র ৮ জন আফগান সেনার মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন নেতাদের বক্তব্য, এর থেকেই প্রমাণিত যে আফগানিস্তানে পেন্টাগনের উপস্থিতি এবং আফগান সেনাদের মার্কিন প্রশিক্ষণ ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ কাজে দিয়েছে। ৩৬ জন জঙ্গিকে মারার ঘটনাকে সাফল্য হিসাবেই দেখছে আমেরিকা। অবশ্য এ কথাও স্বীকার করা হচ্ছে, আরও ব্যাপক সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এ কথাও মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হচ্ছে, সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তা করা হবে ধাপে ধাপে। একেবারে সমস্ত সেনা সরিয়ে নিয়ে জঙ্গিদের স্বর্গোদ্যান বানানো হবে না আফগানিস্তানকে। ২৫ হাজার মার্কিন সেনা থেকেই যাবে। তাই তালিবানের কাছে আমেরিকার পাল্টা যুক্তি, হক্কানি-গোষ্ঠীর কথায় প্ররোচিত হয়ে আলোচনার রাস্তা থেকে সরে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
|
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢাকা |
পদত্যাগ করলেন মধ্যরাতে ঘুষ নেওয়া কাণ্ডে অভিযুক্ত বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই আমি পদত্যাগ করেছি।” রেলে জনবল নিয়োগের কথা বলে বিপুল টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুরঞ্জিতবাবুর বিরুদ্ধে। |
|
|
|
|
|