হোমগার্ড দিয়ে ট্রাফিক সামলানো হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে। তার জেরে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুল ও অফিস যাতায়াতের সময়ে শহরের রাস্তা দখল করে থাকে ট্রাক এবং ট্রাক্টর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যানজট বাড়তে থাকায় শহরের সাধনা মোড় থেকে ডানলপ মোড় হয়ে কাছারি রোডের দিকে জোড়া সেতুর ট্রাফিক মোড়ে এলাকার রাস্তায় হেঁটে চলাই দায়। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ির রাস্তায় সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে যায় যানজট। ডানলপ মোড় থেকে মন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে পাঁচ মিনিটের স্কুলের পথে পৌঁছতে ভ্যান রিকশার ভেতরে ঘেমে নেয়ে খুদে পড়ুয়াদের প্রায় আধ ঘণ্টা নাজেহাল হতে হয়। ওই এলাকায় দুটি প্রাথমিক স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থা-সহ এফসিআইয়ের জেলা অফিসের পাশাপাশি রয়েছে একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি। |
কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। শহরের প্রধান রাস্তায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।” জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “অভিযোগ পাইনি। তবে ট্রাফিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে দ্রুত যানজট রোধে উদ্যোগী হব।” পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমর সরকারের অভিযোগ, “আমরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। শহরের একদিকে বাসস্ট্যান্ড এবং অন্যদিকে থানা মোড়ে ট্রাফিক পোস্ট রয়েছে। সেখান থেকে ট্রাফিক পুলিশের নজর এড়িয়ে কী করে সাত সকালে ট্রাকগুলি শহরে ঢুকছে?” সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত শহরে পণ্যবাহী ট্রাক লরি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুরসভাও বিষয়টি নিয়ে হাত ধুয়ে বসে আছে বলে পুলিশের একাংশের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, বালুরঘাটে ট্রাফিক পুলিশের পরিকাঠামোগত অভাব রয়েছে। হোমগার্ডদের দিয়েই ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু আছে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা হয়নি। |