|
|
|
|
জট কাটাতে আজ বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
দাবি মেনে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা না করা হলে কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর রেলপথ তৈরির জন্য জমি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিলেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চাষিরা। রবিবার বোচাডাঙ্গা এলাকায় কয়েকশো চাষি ঘরোয়া বৈঠক করে ওই কথা জানিয়ে দেন। তাঁরা কালিয়াগঞ্জ নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি গঠন করে আন্দোলনে নেমেছেন। চাষিদের অভিযোগ, রেলমন্ত্রক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা না করে সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সমস্যার সমাধানে আজ, সোমবার কালিয়াগঞ্জের বিডিও অফিসে চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রেলমন্ত্রকের কর্তারা। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনে ডিআরএম ভূষণ পটেল বলেন, “আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। জমির মালিকরা সরকারি নিয়মেই ক্ষতিপূরণ পাবেন।” আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের কালিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি দধিমোহন দেবশর্মা বলেন, “চাষিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা জেনেছি। রেলের নিয়ম অনুযায়ী চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সে বিষয়ে রেলমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে জেলা নেতারা কথা বলছেন।” ২০১১-র রেল বাজেটে কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করে রেল দফতর। প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা হয়েছে। ওই জমিতে প্রায় ১ হাজার চাষি আবাদ করে সংসার চালান। ৩৪ কিলোমিটার ওই রেলপথ তৈরির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি ভাবে জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেল দফতর। এর পরই প্রস্তাবিত জমিতে খুঁটি পোতার কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি, আন্দোলনের জেরে সেই কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, “রেলমন্ত্রক বহুফসলি জমি অধিগ্রহণ করে রেলপথ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। চাষিদের উপযুক্ত জমির দাম ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি অথবা সমপরিমাণ জমি দেওয়া না হলে জমি দেওয়া হবে না।” কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রমথনাথ রায় বলেন, “চাষিরা রেলের নিয়মে জমির দাম ও প্রয়োজনে চাকরি পাবেন। উন্নয়ন স্তব্ধ করতে তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।” সিপিএমের কালিয়াগঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক ভরতেন্দু চৌধুরী জানান, চাষিদের দাবির সঙ্গে সহমত হয়ে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|