|
|
|
|
চাঁচলে আগুন, পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
খড়ের গাদা থেকে আগুন ছড়িয়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল ১২০টি বাড়ি। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে মালদহের চাঁচলের ভগবানপুরের চারালু এলাকায়। আগুনে পুড়ে জখম হয়েছেন ১ শিশুসহ ৪ জন। তাঁদের চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দমকল পৌঁছনোর আগে বাসিন্দারাই স্যালো পাম্পসেট চালিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। হাওয়া বইতে থাকায় এক জায়গা থেকে আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে যায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুনে ঘরবাড়ি সহ মজুত ধান, চাল, গম পুড়ে যায়। খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০০ বাসিন্দা। আগুনে পুড়ে গিয়েছে গরু, ছাগল সহ বেশ কিছু গবাদি পশু। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখছে দমকল। ঘটনার পরই এলাকায় যান চাঁচলের মহকুমাশাসক, বিডিও, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা। |
|
ছবি: বাপি মজুমদার। |
চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক অশোক সরকার বলেন, “ত্রানের ত্রিপল সহ সহ দুর্গতদের ১২ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা দুর্গতদের পাশে আছি।” চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব জানান, দুর্গতদের যাতে ত্রাণের সমস্যা না হয় তা প্রশাসনকে দেখতে বলেছি। চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইনতাজ হোসেন বলেন, “আগুনে প্রায় গোটা গ্রামটাই পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের ত্রাণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সবাই যাতে ত্রাণ পান সেটা দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের আধিকাংশ বাড়িই কাঁচা। খড়ের পাশাপাশি টিনের ছাউনি দেওয়া। বিকালে ওই এলাকায় হাওয়া বইছিল। সেই সময়ই এলাকার বাসিন্দা শেখ আলিমের বাড়ি লাগোয়া তাঁরই একটি খড়ের গাদা থেকে প্রথমে আগুন লাগে। হাওয়ায় নিমেষের মধ্যে তা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। চাঁচল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ওই এলাকায় দমকল পৌঁছনোর আগেই পাম্পসেট চালিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন বাসিন্দারাই। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিজীবী। মজুত শস্যে সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দা মহম্মদ হানিফ বলেন, “জমি কিনব বলে যন্ত্রচালিত ভ্যান বিক্রি করে ৩৫ হাজার টাকা ঘরে রেখেছিলাম। সব পুড়ে গিয়েছে। বহু চেষ্টা করেও তা বাঁচাতে পারিনি।” একই অবস্থা সাজ্জাদ আলি, রবিউল আলম সহ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাদের। |
|
|
|
|
|