|
|
|
|
মাঠ সংরক্ষণ করার দাবি, দিনভর অবস্থান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
শতবর্ষের পুরনো দুর্গাপুজোর মাঠ সংরক্ষণের দাবিতে দিনভর অবস্থান করলেন বাসিন্দারা। রবিবার জলপাইগুড়ির বাবুপাড়ার ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবৈধ ভাবে পুজোর মাঠ কিনে বহুতল তৈরির পরিকল্পনা করেছে একটি প্রমোটার সংস্থা। বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়েও, কোনও সুরাহা হয়নি। প্রতিবাদে এদিন অবস্থান করেন তাঁরা। এলাকাবাসীর সঙ্গে অবস্থানে সামিল হয়েছিলেন এলাকার প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলার-সহ জলপাইগুড়ির পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের এক সদস্যও। যদিও অবৈধ ভাবে জমি কেনার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রমোটার সংস্থা কর্মকর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, জমির যে অংশে দুর্গাপুজো হয়, সেই অংশ ছেড়ে দিয়ে নির্মাণ কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এলাকার কয়েকজন প্রবীন বাসিন্দাদের সঙ্গেও তাঁরা আলোচনা করেছেন। রাজনৈতিক কারণেই একটি মহল থেকে এলাকার বাসিন্দাদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ ওই প্রমোটার সংস্থার কর্মকর্তাদের। অভিযুক্ত প্রমোটার সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে জমি কিনেছি। জমির যাবতীয় নথিপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। বাবুপাড়ার পুজো শহরের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। আমরাও চাই না এই পুজো বন্ধ হোক। সে কারণেই পুজোর জায়গা ছেড়ে রেখেই নির্মাণ কাজ হবে। এলাকার প্রবীনদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।.” শেখর বাবুর দাবি, শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য বিষয়টিকে জটিল করা হচ্ছে। সমস্যা থাকলে বাসিন্দার সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাঁরা রাজি। তবে যাঁরা ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাইছেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান না। এলাকার বাসিন্দা অরুণ বন্দোপাধ্যায়, প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুনীল মজুমদার, সন্টু চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়রা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অবস্থানে বসেননি। বা কোনও রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ কাজ করছেন না। চোখের সামনে এলাকায় দুর্গাপুজোর জায়গা দখল হয়ে যাবে এটা তাঁরা মানবেন না। জলপাইগুড়ির বাবুপাড়া সর্বজনীনের দুর্গাপুজো শহরের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমির মালিককে অন্ধকারে রেখে জমিটি হস্তান্তর করা হয়েছে। জমিতে বহুতল তৈরি হলে শতবর্ষের পুরনো পুজো বন্ধ হয়ে যাবে। বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকার প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলার সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং বর্তমান কাউন্সিলার চিত্রা চট্টোপাধ্যায়। চিত্রাদেবী সৈকত বাবুর মা। এলাকার বাসিন্দা না হলেও সামিল হয়েছেন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য কংগ্রেস নেতা নির্মল ঘোষ দস্তিদারও।. সৈকত বাবু বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরে প্রমোটার রাজ চরমে উঠেছে। যার অন্যতম উদাহরণ বাবুপাড়ার এই ঘটনা। একটি প্রভাবশালী মহলের মদতে অবৈধ ভাবে জমি কিনে বহুতলের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। যে ভাবেই হোক এই অনিয়ম বন্ধ করা হবে। পুজোর জায়গা সংরক্ষিত করতে হবে।” |
|
|
|
|
|