প্রস্তুতি নিয়েও শেষপর্যন্ত রবিবার দাগাপুরে মিছিল করল না তরাই ও ডুয়ার্স যৌথ মঞ্চ। পাল্টা মিছিলে অবশ্য তরাই ও ডুয়ার্স জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির ৪ জন সদস্য পুলিশের নজর এড়িয়ে দাগাপুরে ঢুকে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পরে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায়, তরাই ও ডুয়ার্সের অস্থির পরিস্থিতির কথা আঁচ করে আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিলের বন্ধ রুখতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে যৌথ মঞ্চের নেতা তথা আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ‘জিটিএ’ সমর্থনকারী গোষ্ঠীর ডুয়ার্সের সভাপতি জন বার্লাকে চিঠি দিয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। কাল, মঙ্গলবার কলকাতায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে জন বার্লার আলোচনা হওয়ার কথা। |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “আলোচনার জন্য ওই সংগঠনকে ডাকা হয়েছে। কলকাতায় আলোচনা হবে। বন্ধ তুলে নেওয়ার ব্যপারে আমরা আগেই আবেদন করেছি। এবারে ফের আলোচনা করব। আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে।” জন বার্লা জানান, তাঁরা আলোচনায় যাবেন। জিটিএ’তে তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজা অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়ে আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বনধের ডাক দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। বন্ধের সমর্থনে শনিবার হাঁসখাওয়া চা বাগানে জন বার্লার উপস্থিতিতে সভা করার কথা ছিল মঞ্চের। কিন্তু, বিরোধী অ্যাকশন কমিটির হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে অশান্তির আশঙ্কা করে প্রশাসন ওই সভার অনুমতি দেয়নি। এর পরই এদিন দাগাপুরে জন বার্লার উপস্থিতিতে মিছিল করে শিলিগুড়ি ঢোকার কথা ঘোষণা করেন মঞ্চের নেতারা। জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি পাল্টা মিছিল করে শিলিগুড়ি থেকে দাগাপুর ঢোকার কথা ঘোষণা করলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। সকাল থেকেই দার্জিলিং মোড় থেকে দাগাপুর পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবাল নজরদারি করতে এলাকায় যান। দু’জন ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখা হয়। এ ছাড়াও একটি জলকামান ঘটনাস্থলে রাখা হয়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও মিছিল বের করেনি যৌথ মঞ্চ। পরে আবহাওয়া খারাপের কথা বলে মিছিল বাতিলের কথা জানানো হয়। ডুয়ার্সেও তারা কোনও মিছিল করেনি। বাগডোগরাতে অবশ্য মঞ্চের একটি মিছিল বের হলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার বলেন, “মিছিল নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।” |