|
|
|
|
অশালীন মেসেজ তাপস পালকে |
তৃণমূল নেতার পুত্র গ্রেফতার শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও কলকাতা |
তৃণমূলের সাংসদ তাপস পালকে ‘অশালীন’ এসএমএস পাঠানোর অভিযোগে শিলিগুড়ি থেকে ধরা হল এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার ছেলেকে। রবিবার দুপুরে শিলিগুড়ির মিলনপল্লিতে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে থেকে রজত মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবককে ধরে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বছর ৩২-এর রজতের বাড়ি মিলনপল্লিতেই। তাঁর কাছ থেকে দু’টি মোবাইল এবং তিনটি সিম-কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক সন্তোষ পাঠক ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতার সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজিরার নির্দেশও দেন। রজতের বাবা, তৃণমূলের শিলিগুড়ি শহর শাখা কমিটির প্রাক্তন সহ-সভাপতি অমল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “রজত মানসিক ভারসাম্যহীন। ওকে ফাঁসানো হয়েছে বলে সন্দেহ হচ্ছে।’’
সাংসদ তাপসবাবুর প্রতিক্রিয়া, “এটা কোনও মানসিক ভারসাম্যহীনের কাজ বলে আমার মনে হয় না। অত্যন্ত নোংরা, অশ্লীল এসএমএস বেশ কয়েক দিন ধরে একাধিক বার আমার মোবাইলে পাঠানো হয়েছে। বিকৃত রুচির কারও কাজ এটা।” পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এই ‘অশালীন’ এসএমএসের ব্যাপারে ২০ মার্চ কলকাতার যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন তাপসবাবু। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “সাংসদ তাপস পালকে অশ্লীল এসএমএস পাঠানোর অভিযোগেই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি জামিনযোগ্য অপরাধ।” তাপসবাবুকে যে মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠানো হয়েছিল, সেটির সিম-কার্ড কোন ‘সার্ভিস প্রোভাইডার’-এর, তা খোঁজ করেই অভিযুক্তের নাগাল পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
অমলবাবর দাবি, রজত মানসিক ভারসাম্যহীন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। মাধ্যমিক পাশ করার পরে রোগ বেড়ে গেলে রজত পড়াশোনা ছেড়ে দেন। অমলবাবুর বক্তব্য, “আমার ছেলের কাছে মোবাইল রয়েছে। কিন্তু একটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে এ সব কী করে করবে?” রজতের আইনজীবী অখিল বিশ্বাস আদালতে ওই যুবকের মানসিক রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেন। জেলার পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “কলকাতা পুলিশের একটি দল ওই যুবককে গ্রেফতারের জন্য সাহায্য চেয়েছিল। তাই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।” |
|
|
|
|
|