মানুষ ভেবেছিলেন শান্তিতে থাকবেন। প্রসাসন হবে স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আগে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেবের আমলে যে ভাবে জেলার নেতারা পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতেন, এখনও সেভাবেই চলছে। কংগ্রেস কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। যা পরিবর্তন হয়েছে তা হল পতাকার রং কেবল লাল থেকে তেরঙ্গা হয়েছে। রবিবার, বসিরহাটের শাঁকচূড়োয় জনসভায় এ ভাবেই তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ঘোষ। |
গত ১৭ মার্চ বসিরহাটে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন কংগ্রেস নেতা পরিমল সর্দার। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। এ দিন পরিমলবাবুর পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, “আগে সিপিএম খুন করত। এখন তৃণমূল কংগ্রেসকর্মীদের খুন করছে। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। অনেক আশা নিয়ে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছিলাম বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে পরিবর্তনের জন্য। এই কি পরিবর্তন?” তিনি আরও বলেন, “যেখানেই যাচ্ছি কর্মী-সমর্থকেরা জানতে চাইছেন জোট করে কি লাভ হল? আমরা জোটে থাকতে চাই না।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু জানান, তৃণমূল চাইছে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে। তাঁদেরও তৈরি থাকতে হবে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে দিল্লি মাথা ঘামাবে না। স্থানীয় মানুষ যা চাইবেন, প্রদেশ কংগ্রেস সেটাই মেনে নেবে। যেখানে জোট করতে চান করবেন। যেখানে একা লড়তে চান কোনও নিষেধ নেই। এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবী ঘোষাল, অসিত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, সুখবিলাস বর্মা প্রমুখ। |