|
|
|
|
খুঁটি থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই |
ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তীর বহু এলাকা আজও অন্ধকারে |
নিজস্ব সংবদাদাতা • ক্যানিং |
রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের কাছে ভোট যে বড় বালাই তা ভালই জানেন সুন্দরবন এলাকার মানুষ। কিন্তু তবুও তাঁদের মনে আশা জেগেছিল। কারণ ‘পরিবর্তন’-এর কথা বলে এলাকায় বিদ্যুৎ এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই সেই একই ছবি। বিধানসভা নির্বাচনের পরে বছর ঘুরতে চললেও আজও বিদ্যুতের মুখ দেখতে পায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার বিস্তীর্ণ এলালাকা মানুষ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে জেলার ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী ব্লকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ভোটের আগে খুঁটি পোঁতাও শুরু হয়। গোসাবা ব্লকের তিনটি এলাকায় নদীর উপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়া হয় শম্ভুনগরে। মন্মথনগর থেকে নদীর উপর দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয় রায়বেরিলি, পাঠানখালি ও বিপ্রদাসপুরে। অন্যদিকে একই ভাবে দুলকি থেকে বালি পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সব এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে এ বার। কিন্তু আজও তাঁদের অপেক্ষার অবসান ঘটেনি। এ ব্যাপারে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বলেন, “বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হওয়ার পথে। কয়েকটি কারণে ওই সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।” যদিও কী কারণে সমস্যা হচ্ছে, তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি। শীঘ্রই ওই সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
মন্ত্রী আরও জানান, গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুদয়নের জন্য ১৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর ফলে গোসাবার চুনাখালি, মৌখালি, পাঠানখালি, মিত্রপুর, কামাখ্যানগর, ভুপেন্দ্রনগর, হরিশপুর, রামনগর, রাজাপুর, বাগবাগান, রাঙাবেলিয়া, কচুখালি, পাখিরালয়, রানিপুর, বিপ্রদাসপুর, মন্মথনগর প্রভৃতি এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। মন্ত্রী এমন কথা জানালেও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হলেও এখনও পর্যন্ত তার টাঙানো হয়নি। তার উপর সাম্প্রতিক ঝড়ে বহু জায়গায় খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। কোথাও ভেঙে গিয়েছে। গোসাবার বাসিন্দা সুশোভন জানা বলেন, “বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মিটার চেয়ে দরখাস্ত জমা দিয়েছিলাম এক বছর আগে। টাকাও জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি তো দূর, গ্রামেও বিদ্যুৎ আসেনি এখনও।”
বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলার বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার উৎপল ঢালি। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (বিদ্যুৎ) অরবিন্দ প্রামাণিক বলেন, “ক্যানিংয়ে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের কাজ করছে বেনটেক নামে একটি সংস্থা। তাদের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। বাসন্তীতে এই প্রকল্পের কাজ করছে বিজয় ইলেকট্রিক্যালস নামে একটি সংস্থা। সংস্থার কিছু সমস্যার কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|