|
|
|
|
নতুন সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ শেষ, মন্তব্য গৌতমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর |
রাজ্যে নতুন সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ শেষ, সিপিএম এ বার সরাসরি ‘বিরোধিতা’র রাস্তায় নেমে পড়তে চায় বলে ইঙ্গিত দিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব।
রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ দিন তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন গৌতমবাবু। বলেন, “সরকারের হনিমুন পিরিয়ড ছ’মাস ছিল। মমতা অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে আমরা এক-দেড় বছর সময় দিয়েছি। আর দেওয়া সম্ভব নয়। এ বার লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে রাস্তায় নামব।” প্রাক্তন বাম সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গৌতমবাবু জানান, মে মাসে এই জেলায় ১৮টি বড় সভা হবে। সেখানে হাজির থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট-সহ তাবড় নেতারা।
এ দিন ছিল অশোকনগরের প্রয়াত সিপিএম বিধায়ক ননী করের স্ত্রী সন্ধ্যাদেবীর স্মরণসভা। সেই উপলক্ষে কচুয়া মোড়ে সভার আয়োজন হয়। গৌতমবাবু ছাড়াও ছিলেন দলের নেতা তড়িৎ তোপদার, রেখা গোস্বামী প্রমুখ। ‘স্মরণসভা’ এ দিন হাজার দু’য়েক মানুষের ভিড়ে এবং সিপিএম নেতাদের ‘মেজাজে’ কার্যত পরিণত হয় ‘জনসভা’য়। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ কোনও কিছুই বলতে কসুর করেননি প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী।
বিধানসভা ভোটের আগে-পরে ‘আত্মসমালোচনা’র যে সুর শোনা যাচ্ছিল সিপিএম নেতাদের কথায় (গৌতমবাবু ছিলেন তাঁদেরই অন্যতম), এ দিন অবশ্য সে পথে হাঁটেননি সিপিএমের বর্ষীয়ান এই নেতা। বরং আগাগোড়া ‘আত্মবিশ্বাসী’ শুনিয়েছে তাঁকে। গৌতমবাবুর কথায়, “বিধানসভা ভোটে আমরা পেয়েছি ২ কোটি ভোট। তৃণমূল, কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ডি, মাওবাদী সব মিলিয়ে ভোট পেয়েছে ২ কোটি ৩৫ লক্ষের মতো। আমাদের যারা ভোট দিয়েছে তারা কী সব চোরের সরকার চেয়েছিল? আর ওদের যারা ভোট পেয়েছে, তারা সবাই কী ভগবান? সতী-সাবিত্রী?” জেলা সম্পাদকের সাফ হিসেব, “ওদের মধ্যে আলতু-ফালতু লোক আছে। আমাদের মধ্যেও আছে। অনেক আলতু-ফালতু লোককে তাড়িয়েছি। আরও তাড়াব।”
রাজ্যে সাম্প্রতিক নানা ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কটাক্ষ, “উনি রেগে গিয়ে কখন কী করবেন কেউ জানে না।” গৌতমবাবু আরও বলেন, “মমতার চারপাশে চিটফান্ডের মালিকেরা ঘুরঘুর করছে। আর হাওয়াই চটি পরে সততা দেখাচ্ছেন উনি!’’ |
|
|
|
|
|