নববর্ষের দিন বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছে দুই তরুণ। এক জন নবদ্বীপের পলতাঘাট রোডের বাসিন্দা অসীম ঘোষ ও অন্য জন নন্দীপাড়ার বাসিন্দা দেবু সাধুখা।ঁ শনিবার সকাল দশটা নাগাদ তাঁরা দু’জন আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে নবদ্বীপের দেয়াড়াপাড়া ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন। চারজনের মধ্যে দু’জন কী করে গঙ্গায় নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। অসীম ও দেবুবাবুর ওই দুই বন্ধু ও তাঁদের এক গুরুদেবকে পুলিশ আটক করেছে। অসীমবাবুর বাবা গোবিন্দ ঘোষ বলেন, “আমার ছেলে সাঁতার জানে না। ওই দিন সকালে ওর এক বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। ছেলে তখন বলে গিয়েছিল, আধ ঘণ্টার মধ্যেই ফিরবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পরেও যখন ফিরল না তখন তার ওই দুই বন্ধুকে আমরা চেপে ধরি। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি।” গোবিন্দবাবুর দাবি, “ছেলের ওই দুই বন্ধুর কাছ থেকে একটি ছোট পোঁটলায় অসীমের জুতো গেঞ্জি পাওয়া গিয়েছে।” দেবুবাবুর বাবা অলোক সাধুখাঁ বলেন, “কী করে দেবু আর অসীম নিখোঁজ হয়ে গেল, তা ওদের বাকি দুই বন্ধু পরিষ্কার করে বলছে না। অথচ, আমার ছেলের জামা পরে ছিল তার এক বন্ধু।” তবে অসীম ও দেবুবাবুর ওই দুই বন্ধুর এক জন বলেন, “আমরা জানতাম না যে ওরা সাঁতার জানে না। ওই দিন দেয়ারাপাড়া ঘাটে খুব ভিড় ছিল। আমরা যেখান দিয়ে নেমেছিলাম, সে জায়গাটাও খুব পিছল ছিল। হঠাৎ জলে একটা সাপ দেখে আমরা তাড়াতাড়ি উঠে পড়ি। তারপরে সাপ চলে যেতে দেখি ওরা দু’জন জলে নেই।”নবদ্বীপ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন ওই দুই পরিবারের সদস্যেরাই। নবদ্বীপ থানার আইসি শঙ্করকুমার রায়চৌধুরী বলেন, “নিখোঁজ দু’জনের সন্ধান পেতে গঙ্গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারও সন্ধান মেলেনি। গোটা ঘটনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ যুবকদের দুই বন্ধু ও তাদের গুরুদেবকে আটক করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের ওই গুরুদেবের আশ্রমেই ওই চারজনের পরস্পরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। |