বর্ষবরণ উপলক্ষে শনিবার জেলা জুড়ে আয়োজিত হল নানা অনুষ্ঠান। বেরোয় প্রভাতফেরী। বিকেল থেকেই শুরু হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশু সংগঠন ‘সব পেয়েছির আসর’এর উদ্যোগে শনিবার সকালে প্রভাতফেরী বেরোয়। শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়ে পরে তা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। |
বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ রাণা, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সর্বরঞ্জন পড়্যা প্রমুখ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার ছাত্রছাত্রীও এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। নববর্ষের দিন সকালে মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরাম- এর উদ্যোগে মেদিনীপুর কলেজ চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। |
নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘বৈশাখী ১৪১৯’। সাংস্কৃতিক সংস্থা ক্যামেলিয়ার উদ্যোগেও দিনটি পালিত হয়। সন্ধ্যায় কলেজ মোড়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরের শিশু শিল্পীরাও তাতে যোগ দেয়। সংস্থার পক্ষে অলোকবরণ মাইতি বলেন,“ প্রতি বছরই আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। কথায়-গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই।” খড়্গপুর শহরের শরৎপল্লীর সবুজ সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে নববর্ষের দিন সকালে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরি। |
উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান জহরলাল পাল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শিবিরে সব মিলিয়ে ৭২ জন রক্ত দেন। বিকেলে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ক্লাবের সদস্য গৌতম সেনগুপ্ত বলেন,“ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করি। গত বারের চেয়ে এ বার দাতার সংখ্যা বেড়েছে। এটাই প্রত্যাশিত।” |