টুকরো খবর
স্বাভাবিক কাজ মেদিনীপুরের সেই সুতোকলে
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো শনিবার থেকেই ফের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হল মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়া এলাকার সুতোকলে। দু’সপ্তাহেরও বেশি বন্ধ থাকার পর ফের কারখানা খোলায় খুশি শ্রমিকেরা। ‘কেশর মাল্টিয়ার্ন মিল লিমিটেড’ নামে এই সুতোকল শ্রমিক-মালিক বিরোধের জেরে ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। মজুরি বৃদ্ধি, বকেয়া ভিডিএ (ভ্যারিয়েবল ডিএ) মেটানো, ওয়ার্ক লোড কমানো-সহ নানা দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকেরা। গোলমালও বাধে। পরিস্থিতি দেখে কারখানার গেটে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’- এর নোটিস ঝোলান মালিকপক্ষ। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘চাপ’ বাড়তে থাকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির উপর। শেষমেশ গত শুক্রবার কলকাতায় অ্যাডিশনাল লেবার কমিশনার অরুণ ভট্টাচার্যের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়, শনিবার থেকে কারখানা খুলবে। সেই মতো পয়লা বৈশাখেই কারখানা খুলেছে। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক কাজকর্ম।

পথ অবরোধ
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের লোকাল বোর্ড মোড়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘন্টা পথ অবরোধ করেন স্থানীয় ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নতুনডিহির লোকাল বোর্ড মোড় থেকে বামদা যাওয়ার পিচ রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। শহরের মেন রোডে উড়ালপুল তৈরির কাজ চলার ফলে গত বছর অগস্ট থেকে দহিজুড়িগামী এবং দহিজুড়ির দিক থেকে শহরে আসা সমস্ত যানবাহনগুলি নতুনডিহি-বামদার ওই রাস্তা দিয়ে ঘুরপথে চলাচল করছে। ভারী যানবাহন চলার ফলে রাস্তাটির শোচনীয় অবস্থা হওয়া সত্ত্বেও সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি পুর-প্রশাসন। এদিন ওই রাস্তার দু’টি জায়গায় বাঁশের ব্যারিকেড করে দেন এলাকাবাসী। ঝাড়গ্রামের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট স্বদেশরঞ্জন প্রামাণিক ও ঝাড়গ্রামের উপ-পুরপ্রধান প্রদীপ মৈত্র অবরোধস্থলে এসে আশ্বাস দেওয়ার পর বিকেলে অবরোধ ওঠে। ওই রাস্তায় আপাতত ভারী গাড়ি চলাচল করবে না বলে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়। বুধবার থেকে ওই রাস্তার সংস্কার-কাজ শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেন প্রশাসনিক ও পুরকর্তারা।

সুস্বনের সাহিত্যবাসর
নিজস্ব চিত্র।
একযুগ পূর্ণ করল লালগড়ের ‘সুস্বন’। ত্রৈমাসিক এই সাহিত্য পত্রিকাটির দ্বাদশ বর্ষের প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশিত হল শনিবার। তিন বছরের খরা কাটিয়ে বাংলা নববর্ষে ফের ‘সুস্বন সাহিত্যবাসরে’ বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের সমাগম হল। লালগড়ের স্থানীয় একটি স্কুলের সভাঘরে আয়োজিত সভায় হাজির ছিলেন বিশিষ্টজনেরা। ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনার সুর বেঁধে দেন সুস্বন গোষ্ঠীর অন্যতম সম্পাদক কিশোর তেওয়ারি। কিশোর বলেন, “প্রান্তিক গরিব মানুষের কাছে সেভাবে উন্নয়ন পৌঁছচ্ছে কই? সুস্বন কেবল সাহিত্য করে না। লালগড়ের মাটির প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই মানুষেরও কথা বলে।” বিশিষ্ট কবি আশিস সান্যাল ২০০৫ সালে লালগড়ে সুস্বনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তারপর ইচ্ছে থাকলেও আসা হয়নি। কারণ, ২০০৮ সালের পর জঙ্গলমহলের অশান্তির দরুণ তিন বছর বার্ষিক এই অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে সুস্বন-এর নিয়মিত প্রকাশে কোনও ছন্দপতন ঘটেনি। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন কবি ও সাহিত্য-সমালোচক বিপ্লব মাজী, লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শঙ্করচন্দ্র পাল, স্থানীয় লেখক বিকাশ রায় প্রমুখ। আলোচনায় ও কবিতা পাঠে যোগ দেন সাংবাদিক তাপস মাইতি, কবি নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়, রমেশ পুরকায়স্থ, পার্থ রাহা, বিবেকানন্দ চক্রবর্তী প্রমুখ। সবশেষে সুস্বন গোষ্ঠীর প্রধান সম্পাদক পঙ্কজকুমার মণ্ডল তাঁর স্বরচিত কবিতা ‘আঁধার দূর হোক’ পাঠ করে বলেন, “নিকষ আঁধার চিরতরে দূর হোক। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য শুরু হোক নতুন এক অহিংস লড়াই!”

বিষ খেয়ে মৃত্যু
বিষক্রিয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। রবিবার সকালে এগরা থানার দুবদা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কল্পনা সাউ (২২), বাড়ি এগরা থানার দুবদা গ্রামে। রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে বিষ খাওয়ার পর কল্পনাদেবীকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা থানার খাদিকুল গ্রামের কল্পনার সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় দুবদা গ্রামের মদন সাউয়ের। তাঁদের কোনও সন্তান নেই। মৃতার ভাই এগরা থানায় মৃতার স্বামী, শ্বশুর, ননদ ও নন্দাইয়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে কল্পনাদেবীর উপর অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর আগে দুই পরিবার ও এলাকাবাসীকে নিয়ে সালিশি করে মীমাংসার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। মৃতার ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।