বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যর চিরাগ কেরলের সঙ্গে খেলতে নামার আগেই হতাশা ইস্টবেঙ্গলে।
আগামী বছরে যেই র্যান্টি মার্টিন্সকে জার্সি পরিয়ে মাঠে নামাতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, তাঁর চার গোলের বিস্ফোরণে হতাশা। ডেম্পোর ৪-১ গোলে স্পোর্টিং জয়ে সব গোলই র্যান্টির।
রবিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে টোলগে-ওপারাদের ফুরফুরে মেজাজ রাত গড়াতে না গড়াতেও বদলে গেল বিষণ্ণতায়। লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান অবশ্য অনড়। শেষ ম্যাচ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন। যদিও কাজটা যে অসম্ভব কঠিন, সেটা মেনে নিলেন দলের প্রধান স্টপার উগা ওপারা। বলছিলেন, “আই লিগ চ্যাম্পিয়শিপের দৌড়ে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি। বিশেষ করে স্পোর্টিং ক্লুবকে হারানোর পরে তো ডেম্পোর আরও সুবিধা হয়ে গেল। তবে ফুটবলে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী হয় না। ফুটবলে এক শতাংশ সম্ভাবনাও একশো শতাংশে বদলে যেতে পারে। আমাদের এখন শুধু চারটে ম্যাচ জিততে হবে। আর কিছু ভাবছি না।”
মর্গ্যানের নির্দেশে এক জন ফুটবলারও মাঠে কথা বলেননি। অধিনায়ক সঞ্জু প্রধান পর্যন্ত না। পরে সঞ্জু বললেন, “ডেম্পো জিতলেও সিদ্ধান্ত হবে ২০ এপ্রিলেই। আই লিগ গোয়ায় থাকবে না কলকাতায় আসবে, সেটা ওই দিনই বোঝা যাবে।” ডেম্পোর বড় জয় এবং র্যান্টির দুরন্ত ফর্ম দেখে চিন্তায় পেন ওরজি। বলছিলেন, “র্যান্টি একাই টানছে ডেম্পোকে। ২০ তারিখের ম্যাচে ওকে আটকাতে পারলেই, অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে।”
সবাই ২০ তারিখের কথা বলছেন। কিন্তু আজ ইস্টবেঙ্গল না জিতলে ডেম্পো এ দিনই সরকারিভাবে তুলে দিতে পারে পতাকা।
পরিসংখ্যানের বিচারে আশা এখনও রয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। পয়েন্ট তালিকায় ২৪ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্মান্দো কোলাসোর দল শীর্ষে থাকলেও, নিশ্চিত হতে শেষ দু’টো ম্যাচ থেকে এখনও এক পয়েন্ট লাগবে তাদের। সেক্ষেত্রে অবশ্য বাকি চারটে ম্যাচই জিততে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য যখন সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল, তখন ভাঙাচোরা দলের সম্মান বাঁচাতে দিশাহীন অবস্থা চিরাগ কেরল কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের। অবনমন বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টার মধ্যেই চলছে দল গঠনের শক্ত কাজ। প্রথম সাত জন ফুটবলার নেই। তিন বিদেশি খেললেও চার্লস সম্পূর্ণ ফিট নন। এ দিন অনুশীলনের পরে বিশ্বজিৎ বললেন, “এটাই আমার কোচিং জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এত বড় ঝুঁকি নিয়ে আগে কখনও মাঠে নামিনি। এখন অবনমন বাঁচানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
প্রকাশ্যে হাল ছাড়তে না চাইলেও, রবিবার রাতের পরে রানার্স হওয়ার দৌড় শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ করে চার্চিল ব্রাদার্স পুণে এফ সি-কে ২-০ গোলে হারানোর পরে রানার্সের রাস্তা কিছুটা পরিষ্কার হয়ে গেল। |