|
|
|
|
রাতের ভাড়া আদায় বন্ধ হল বাসস্ট্যান্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা• মেদিনীপুর |
বাস রাখার জন্য পুরসভার ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক’দিন আগেই গোলমাল বেধেছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে। রাতে বাস রাখার জন্য আলাদা ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্তরও বিরোধিতা করেছিল বাস মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে রাতের জন্য আলাদা ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখল মেদিনীপুর পুরসভা। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা লিখিত ভাবে বাস-মালিকদের জানানো হয়েছে। তবে, বাস রাখার সাধারণ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পুরসভা সরছে না। আগে বাস পিছু দিনে ৫ টাকা করে নেওয়া হত। বর্ধিত ভাড়া দাঁড়িয়েছে বাস পিছু ১০ টাকা। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বাস-মালিকেরা। শনিবার থেকেই ১০ টাকা করে ‘স্ট্যান্ড ফি’ নেওয়া শুরু হয়েছে। জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সহ- সম্পাদক শিবু সরখেল বলেন, “আগে আলোচনা হলে অশান্তি হত না। পুর-কর্তৃপক্ষ রাতে বাস রাখার জন্য বাড়তি ফি আদায়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখায় আমরা খুশি।”
বাড়তি ফি আদায়কে কেন্দ্র করেই ক’দিন আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে। পুর-কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাস-কর্মীরা। বাস ভাঙচুর হয়। পরিস্থিতি দেখে বাড়তি ফি আদায়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে স্ট্যান্ড ফি আদায় বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে ফের তা চালু হয়েছে। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের প্রায় তিনশোরও বেশি বাস যাতায়াত করে। আগে বাস- পিছু স্ট্যান্ড ফি নেওয়া হয়ে ৫ টাকা। তা বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়। আর রাতে বাস রাখলে আরও ২০ টাকা ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। আগে এই টাকা দিতে হয় না। স্থির হয়েছিল, ১ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করা হবে। কিন্তু, তার মধ্যেই ওই গোলমালের ঘটনা ঘটে। বাস-মালিকদের বক্তব্য, ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুর-কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আলোচনায় বসা। আলোচনার মাধ্যমেই কোনও একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যেত। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তা না-করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেন। রাতে বাস রাখার জন্য ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত হতে ফের স্বাভাবিক হয়েছে বাসস্ট্যান্ড। শুরু হয়েছে ‘স্ট্যান্ড ফি’ আদায়ের কাজ। |
|
|
|
|
|