প্রায় ৭০ দিন আগে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল পার্ক স্ট্রিটে। এত দিনেও সেই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পলাতক দুষ্কৃতীকে ধরতে না-পেরে তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল কলকাতা পুলিশ। তারা হল মূল অভিযুক্ত কাদের খান এবং ধর্ষণের সময় গাড়িতে থাকা জনি।
হুলিয়া জারি করার জন্য কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ সম্প্রতি ব্যাঙ্কশাল আদালতে আর্জি জানিয়েছিল। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ রবিবার বলেন, “বিচারক গত বৃহস্পতিবার হুলিয়া জারির আর্জি মঞ্জুর করেন। ১৩ এপ্রিল হুলিয়া জারি করা হয়েছে।” পুলিশি সূত্রের খবর, ওই দুই অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আত্মসমর্পণ না-করলে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিটের একটি পানশালা থেকে বেরোনোর পরে এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁকে মারধর করে এক্সাইড মোড়ের কাছে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তিন দিন পরে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পার্ক স্ট্রিট থানার হাত থেকে পরে তদন্তভার হাতে নেয় কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগকারিণী জানান, তিন দুষ্কৃতী নিজেদের লাভি গিদোয়ানি, আজহার আলি এবং শরাফত আলি নামে পরিচয় দিয়েছিল। তবে তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সময় লাভি ছিলেন কানাডায়। শরাফত ও আজহারকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রুমান খান, নাসির খান এবং সুমিত বজাজ নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয় সুমিতের হন্ডা সিটি গাড়িটিও।
পুলিশ জানিয়েছিল, লাভি, শরাফত ও আজহারের নাম ভাঁড়িয়ে দুষ্কর্ম করেছিল রুমানেরাই। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাদের ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল। সে-ই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। জনিও ঘটনার সময় গাড়িতে ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। |