রঙ্গ-চিত্র কাণ্ডে যাদবপুরের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ও তাঁর প্রতিবেশী সুব্রত সেনগুপ্তকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মিছিল করছিলেন নিউ গড়িয়া উন্নয়ন আবাসনের বাসিন্দারা। তা নিয়ে রবিবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই সমবায় আবাসন কমিটির সহ-সম্পাদক অম্বিকেশবাবুকে মারধর করেন স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূলকর্মী। সেই অভিযুক্তদের অন্যতম ছিলেন শেখ মুস্তাফা। এ দিন বিকেলে আবাসনের ভিতরে মিছিল করছিলেন বাসিন্দারা। মিছিল শেষ করার সময় অম্বিকেশবাবুকে মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ মুস্তাফা তাঁর কয়েক জন সঙ্গী মিছিলের সামনে এসে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই নিয়ে দু’পক্ষের বাগ্বিতণ্ডাও হয়। |
অম্বিকেশবাবু এবং কমিটির সম্পাদক সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলমন্ত্রী মুকুল রায় এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীদের নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ছড়িয়ে মানহানি করার অভিযোগে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার আলিপুর আদালত থেকে তাঁরা জামিন পান। ওই রাতেই অরূপ মুখোপাধ্যায়, নিশিকান্ত ঘড়াই, শেখ মুস্তাফা এবং অমিত সর্দারের বিরুদ্ধে মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন অম্বিকেশবাবু। শনিবার সকালে ওই যুবকদের থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ (আগে জানা গিয়েছিল, শুক্রবার রাতেই ওই যুবকদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই তথ্য ঠিক নয়)। পুলিশ সূত্রের খবর, ‘আদালত থেকে জামিন দেওয়া হবে’, এই ‘আশ্বাসেই’ ওই যুবকদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা জামিনও পান। অম্বিকেশবাবুকে ১৬ ঘণ্টা হাজতবাস করতে হলেও, অভিযুক্ত চার যুবককে বস্তুতপক্ষে হাজতবাসই করতে হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অম্বিকেশবাবুর উপর হামলার সঙ্গে ব্যঙ্গচিত্রের সরাসরি যোগ নেই। বরং এর সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতি এবং সিন্ডিকেট ব্যবসার যোগসূত্র রয়েছে। সেই হামলার প্রতিবাদেই এ দিনের মিছিল ছিল। মুস্তাফার অভিযোগ, তিনি আবাসনের বোর্ডের কাছ থেকে টাকা পান। তা না দিয়ে উল্টে তাঁকেই অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আবাসনের বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ কার্তিক সিংহরায় বলেন, “যে বিলের টাকা বাকি রাখার কথা বলা হচ্ছে, সেই বিলগুলি নিয়েই বিতর্ক রয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পরই টাকা মেটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
|
মমতাকে বিঁধলেন ওমর
সংবাদসংস্থা • শ্রীনগর |
নাম না করে রঙ্গ-চিত্র কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন ওমর আবদুল্লা। রঙ্গ-চিত্র কাণ্ডে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর গ্রেফতারি নিয়ে টুইটারে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এক জন। জবাবে ওমর জানিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে অনেকেই রঙ্গ-চিত্র আঁকেন। তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করলে জেলে জায়গার অভাব দেখা দেবে। |