কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এ বার থেকে বাড়ি-বাড়ি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। তবে, যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হওয়ার কথা, ততটা অবশ্য এগোচ্ছে না। যদিও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে জেলার প্রতিটি এলাকাতেই এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অরবিন্দ মহাপাত্র। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ব্যাঙ্কের করেসপডেন্ট এজেন্ট নিয়োগের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। আল্ট্রা-স্মল ব্রাঞ্চ তৈরির কাজও চলছে।”
কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, যে-সব গ্রামে দু’হাজারের বেশি মানুষের বাস, সেখানেই এক জন করে ব্যাঙ্ক করেসপডেন্ট এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে। সেই সঙ্গে সেই গ্রামে একটি আল্ট্রা-স্মল ব্রাঞ্চও খুলতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দু’হাজারের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, এমন গ্রামের সংখ্যা ২৭৩। তার মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত ২৩২টি গ্রামে এজেন্ট নিয়োগ করেছে। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, আরও দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এখনও সব জায়গায় তাদের এজেন্ট নিয়োগ করতে পারেনি। যাতে দ্রুত এজেন্ট নিয়োগ করা হয় সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও অবশ্য প্রশাসন জানিয়েছে।
ওই এজেন্টদের কী কাজ? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে মানুষ কী কী পরিষেবা পেতে পারেন, তা সাধারণ মানুষকে বোঝানো ও সেই পরিষেবা দেওয়ায় সাহায্য করাই এজেন্টদের কাজ। কৃষি-ঋণ পেতে কী করতে হবে, কী ভাবে বিমা করা যায়, স্থায়ী আমানত খোলার জন্য কী করতে হবে--এ সব নানা বিষয়ে বোঝানোর পাশাপাশি যাঁর যেমন পরিষেবা প্রয়োজন তা দেওয়ার কাজও করবেন ওই এজেন্টরা। কিন্তু এজেন্টের পক্ষে কী সব কিছু বোঝানো সম্ভব? ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, তা সম্ভব নয় বলেই আল্ট্রা-স্মল ব্রাঞ্চ খোলার ভাবনা। যেখানে ব্যাঙ্কের কর্মী সপ্তাহে এক দিন গিয়ে বসবেন এবং সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেবেন। প্রতিটি এলাকাতেই এজেন্ট নিয়োগের নির্দেশ রয়েছে। তবে আল্ট্রা-স্মল ব্রাঞ্চ খোলার কথা প্রাথমিক ভাবে ৪০টি গ্রামে। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যে এই ব্রাঞ্চ খোলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। |