টুকরো খবর
জিরো টিলেজ-এর চাষ সফল পাটেও
পাট চাষেও ‘জিরো টিলেজ’ প্রযুক্তি জনপ্রিয় করতে চায় উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি দফতর। জেলার হেমতাবাদে চলতি মরসুমে ১২০ বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে পাট চাষ করা হবে। হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দফতরের দাবি, ধান ও গম চাষে জিরো টিলেজ পদ্ধতি জনপ্রিয় হলেও রাজ্যে প্রথম এই ব্লকে পাটে এই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। হেমতাবাদ ব্লক কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক শ্রীকান্ত সিংহ বলেন, “এই পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে চাষিরা কম খরচে বিঘা প্রতি প্রায় দেড় গুণ বেশি ফলন পাবেন। চাষিদের বিঘা প্রতি এক হাজার টাকা করে সাশ্রয় হবে। স্পেশাল জুট ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পে চাষিদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশকও বিলি করা হচ্ছে। ব্লকের বিভিন্ন ফার্মাস ক্লাবকে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে সচেতন করার জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছে।” জেলায় এখন পাট বীজ বোনার কাজ চলছে। ব্লকের প্রায় ৩০ হাজার বিঘা জমিতে প্রতি বছর পাট চাষ হয়। গত মরসুমে প্রায় ৯২ কুইন্টাল পাটের ফলন হয়েছিল। এ বছর প্রাথমিক ভাবে ১২০ বিঘা জমিতে জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে পাট চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও ব্লকের ১৬ হাজার চাষিকে ওই পদ্ধতিতে পাট চাষে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কী ভাবে জমিতে লাঙল না-দিয়ে বীজ ছড়ানোর যন্ত্র দিয়ে এক সঙ্গে সার ও বীজ ছড়ানো সম্ভব তা বোঝানো হচ্ছে। ব্লক কৃষি আধিকারিক জানান, সাধারণ পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি চাষে ১৫ কেজি সার, দেড় কেজি পাটবীজের প্রয়োজন হয়। জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ৮০০ বীজ ও ১২ কেজি সারের প্রয়োজন হবে। ব্লকের ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির করে চাষিদের ওই পদ্ধতিতে চাষ করার ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। ব্লকের মহাজনবাড়ি এলাকার পাট চাষি জ্যোতিষ বর্মন, কুমারেশ রায়, বিষ্ণুপুর ও কাস্তারই এলাকার পাট চাষি সোলেমান আলি ও সাজাহান আলিরা এ বছর জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে গড়ে ছয় বিঘা করে জমিতে পাট চাষে নেমেছেন। তাঁরা বলেন, “কৃষি দফতরের সহযোগিতায় ও পরামর্শে জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে পাট চাষ শুরু করেছি। সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় খুব কম খরচে ও কম সময়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ করতে পারছি।”

গোলমালে জখম ৯
টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘর্ষে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে মালদহের রতুয়ার রামপুরে ঘঠনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে এক মহিলা সহ দুইপক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি বাড়িও। ঘটনাতে লেগেছে রাজনীতির রংও। টাকা না দেওয়ার জন্য সিপিএম পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তুলেছে। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “টাকা লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। দুই তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিসান সেবাকেন্দ্র করে দেওয়ার নাম করে ওই এলাকার সাকির আলি ৫ বছর আগে প্রতিবেশী শেখ মুসলিমের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কাজ না হওয়ায় পরেও সাকির আলি টাকা ফেরৎ দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি হলেও সমস্যা মেটেনি। পুলিশ জানায়, এদিন শেখ মুসলিমকে সাকিরের লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় আনসারুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তিকেও। তাঁর বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান মহম্মদ আসফাতুর রহমানের অভিযোগ, “সাকির সিপিএমের কর্মী। স্থানীয় নেতাদের মদতে ওই হামলা চালানো হয়। ঘটনায় পাঁচ কংগ্রেস কর্মী জখম হয়েছেন।” সিপিএমের রতুয়া-৩ লোকাল কমিটির সম্পাদক মুকলেশুর রহমান বলেন, “দুই প্রতিবেশীর বিবাদের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। এরসঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।”

অবস্থান প্রত্যাহার
বাস চলবে ডিপো থেকে। সেখানে থাকবেন চালক, কন্ডাক্টর ও টিকিট চেকিং স্টাফ। ডিপো ইনচার্জ না-থাকলেও কাজ তদারকির জন্য থাকবেন একজন আধিকারিক। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তাদের ওই আশ্বাস পেয়ে বুধবার প্রায় দেড় মাস পরে অবস্থান আন্দোলন তুলে নিল নাগরিক মঞ্চ। ডিপো রক্ষার দাবি আদায়ে সফল মঞ্চের সদস্যরা এ দিন আন্দোলন তুলে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বিতরণ করা হয় লাড্ডু। মঞ্চের তরফে কংগ্রেস নেতা দেবব্রত ঘোষ এবং সিপিএম নেতা মনওয়ারুল আলম বলেন, “এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় আন্দোলন সফল হয়েছে। ডিপো এখানেই থাকছে। নিগম কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল ডিপো থেকে বাস ছাড়বে।” এ দিকে মঞ্চ আন্দোলন তুলে নেওয়ায় খুশি নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সি মুরুগন। তিনি বলেন, “চাঁচল ডিপোতে শুধুমাত্র প্রশাসনিক দফতর এবং ওয়ার্কশপ থাকবে না। আগের মতো সেখান থেকে সমস্ত রুটের বাস চলবে। সংস্থার ওই সিদ্ধান্তে কর্মীরা উপকৃত হবেন। নাগরিক মঞ্চ আন্দোলন তুলে নেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ডিপোর স্বাভাবিক কাজ শুরু হবে।” চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক অশোক সরকার বলেন, “নাগরিক মঞ্চ আন্দোলন তুলে নেওয়ায় ভাল হল। আশা করছি দ্রুত ওই ডিপো থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।” নিগমের চাঁচল ডিপো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান আন্দোলনে নামে নাগরিক মঞ্চ।

জামিন চাই অনশনে ৮
দ্রুত জামিনের দাবিতে মালদহ জেলে অনশনে নেমেছে জাল নোট পাচারে ধৃত ৮ বিচারাধীন বন্দি। মঙ্গলবার থেকে ওই বিচারাধীন বন্দিরা অনশন শুরু করেন। বুধবার অনশনকারীদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে জেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের সেখানে পাঠানো হয়। অনশনকারীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হলেও কেউই রাজি হননি। ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “যে সমস্ত বিচারাধীন বন্দি মালদহ জেলা সংশোধনাগারে অনশন করছেন তাদের কারা দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। বিচারাধীন বন্দিরা যাতে অনশন তুলে নেন সেই বিষয়টি জেলা সংশোধনাগারের সুপার দেখছেন।” জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা জানান, ওই বিচারাধীন বন্দিদের কেন জামিন হচ্ছে না তা নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, জাল নোটের কারবারের অভিযোগে ধৃতদের জামিন দেওয়ার বিষয় আদালতের। কেউ এক বছর, কেউ এক মাস আগে জাল নোট পাচারে গ্রেফতার হয়েছেন। আদালতের নির্দেশেই তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। মালদহ জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “দ্রুত জামিনের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে সংশোধনাগারের ২৮ বন্দি অনশনে নামেন। অনশন তোলার জন্য জেলের তরফে ওই বিচারাধীন বন্দিদের বহু বার অনুরোধ করা হয়। আমাদের অনুরোধে ২০ জন বন্দি অনশন প্রত্যাহার করে নেয়। ৮ জন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

বেতন বাকি ১২ মাস
১২ মাসের বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে আন্দোলনে নামল কোচবিহারের জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার কর্মচারী ফেডারেশন। বুধবার কোচবিহার সদর নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান তথা মহকুমাশাসককে ওই ব্যাপারে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। সমিতির অভিযোগ, ২০০২ সাল থেকে ফি মাসে তাদের বেতন নির্দিষ্ট দিনের বদলে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কয়েক বছরের ব্যবধানের জেরে ইতিমধ্যে তাঁদের ১২ মাসের বেতন বকেয়া হয়ে পড়েছে। ওই সমিতির কোচবিহার সদর শাখার সভাপতি হিরন্ময় সরকার বলেন, “বাজার সমিতির ৮১ জন কর্মী নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। তার ওপর ২০০২ সাল থেকে বকেয়া থাকা ১২ মাসের বকেয়া বেতন মেটানো নিয়ে গড়িমসি চলছে। ওই ব্যাপারে এদিন স্মারকলিপি দেওয়া হয়। লাগাতর আন্দোলনের কথাও ভাবা হচ্ছে। কোচবিহার সদর নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান সুপর্ণ কুমার রায়চৌধুরী বলেন, “সমিতির ফি মাসে গড়ে ১২ লক্ষ টাকা আয় হলেও বেতন বাবদ খরচ হয় ১৬ লক্ষ টাকা। এখন আমরা ২০১১ সালের মে মাসের বেতন মেটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। কী করে বকেয়া মেটানো যায় তা ভাবা হচ্ছে।”

লোকসংস্কৃতি উৎসব
বাংলা লোক সংস্কৃতি উৎসব বুধবার শুরু হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্ডীপুরে। উত্তরবঙ্গ লোক সংস্কৃতি পরিষদের চন্ডীপুর শাখার উদ্যোগে স্থানীয় হাই স্কুল ময়দানে উৎসব চলবে দু’দিন। সেখানে বাউল, ফকির গান, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি গান, মানব পুতুল, জাগলিং অনুষ্ঠান থাকবে। পড়ুয়াদের নিয়ে বসবে আবৃত্তি, বসে আঁকো, ক্যুইজ সহ প্রতিযোগিতামূলক নানা অনুষ্ঠান।

অনিয়মের অভিযোগ
অনিয়মের অভিযোগ তুলে বুধবার অভিভাবকেরা রায়গঞ্জের ভিটিকাটিহার শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বিক্ষোভ দেখান। সহ সহায়িকাকেও দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। অভিযোগ, গত চার মাস ধরে মিড ডে মিল বন্ধ। সহায়িকারা নিয়মিত কেন্দ্রে আসেন না। প্রশাসনে জানিয়েও লাভ হয়নি। কেন্দ্রের সহ সহায়িকা রিনা দত্ত চাকি বলেন, “প্রধান সহায়িকা ছুটিতে। তিনি কাজে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।” রায়গঞ্জের বিডিও সুব্রত পাল জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝড়ে ক্ষতি ২০ কোটির
শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে মালদহে কৃষি ও আমে ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বুধবার জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা জানান, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে জেলার কালিয়াচক, ইংরেজবাজার, মানিকচক, রতুয়া-১, ২, চাঁচল-১, ২ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর-১, ২ নম্বর ব্লকের সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমির গম, বোরো ধান, ভূট্টা, সবজি, ডাল ফসল নষ্ট হয়েছে। যার পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা। ৪ হাজার হেক্টর বাগানের ৩২ হাজার টন আম নষ্ট হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ৩০ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙেছে। ১৯ হাজার মাটির বাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে।

নয়া শাখা
বুধবার ডুয়ার্সের রানিচেরা বাগানে আইএনটিটিইউসি সমর্থিত তরাই ডুয়ার্স প্ল্যানটেশন ওয়াকাসর্র্ ইউনিয়নের শাখা গঠন হয়েছে। ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সোনা সরকার। রানিচেরা চা বাগানের নিউ স্টেশন এবং বালাবাড়ি ডিভিশনেও সংগঠনের ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নেতাদের দাবি, ৬৫০ জন শ্রমিক যুক্ত হয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.