উত্তর দিনাজপুর জেলায় ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির জেরে পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার। বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জেলার চোপড়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। পরে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করেন। মন্ত্রী বলেন, “বিরাট ক্ষতি হয়েছে জেলার। বাড়িঘর, ফসল মিলিয়ে ক্ষতি অপরিসীম। কেবলমাত্র রাজ্য সরকারের পক্ষে ক্ষতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের কাছে একে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে অনুরোধ করব।” মন্ত্রী জানান, মৃত দুই পরিবারকে খুব শীঘ্রই ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করা হবে। শিলিগুড়ি থেকে ১ হাজার ত্রিপল পাঠানোর ব্যবস্থা করব। এ দিন গৌতমবাবু চোপড়ার পাগলি, বক্সাবাড়ি, দৌলতগছ, দারিয়াগছ-সহ প্রত্যন্ত গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন। |
মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক হামিদূল রহমান। গৌতমবাবু শিলাবৃষ্টিতে মৃত দুই বাসিন্দার বাড়িতেও যান। মন্ত্রী নিজে পরিবারগুলিতে ১০ হাজার টাকা করে দেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ওই দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার সরকারি ভাতা থেকে পরিবারগুলিকে সামান্য সাহায্য করেছি।” গত শুক্রবারের ঘন্টাখানেকের শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে গৃহহীন হয়েছে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শিল পড়ে মারা গিয়েছে বক্সাবাড়ির বাসিন্দা রসমত আলি (৪০) এবং দারিয়াগছের বাসিন্দা হুলাসু দাস(৫৫)। এদিন মন্ত্রী বিডিও অফিসে থাকাকালীণ ত্রাণের দাবিতে মন্ত্রীর ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ঝড়ের পর এতদিন পার হয়ে গেল বহু জায়গায় ঠিকঠাক ত্রাণ পৌঁছায়নি। চোপড়ার বিধায়ক বিক্ষোভ কারীদের সরিয়ে দেন। সবাইকে ত্রাণের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়। এদিনই চোপড়ার ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন রাজ্যের ত্রাণ ও পুর্নবাসন দফতরের যুগ্ম সচিব দেবব্রত পাল। ত্রাণ বিলির বিষয়টিও তিনি খতিয়ে দেখেন। পরে মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। |