মিডফিল্ডার হিসেবে এক সময় বসিরহাট মহকুমা একাদশ এবং কলকাতার ভ্রাতৃসংঘ ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলেছেন। ছোটখাটো চেহারার মানুষটার কাছে পরবর্তীকালে প্রশিক্ষণ নিয়ে বসিরহাট মহকুমার একাধিক ফুটবলার কলকাতায় খেলেছেন। বয়সের ভারে এখন আর সে ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন না বসিরহাটের সাঁইপালার প্রাক্তন ফুটবলার এবং প্রশিক্ষক গোপাল মজুমদার। বসিরহাটের এসএন মজুমদার রোডের পাশে একটি দোকানে চা বিক্রি করে কোনওমতে সংসার চলে তাঁর। |
আর্থিক ভাবে তাঁকে সাহায্য করতে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় গত ৮ এপ্রিল, রবিবার গোপাল মজুমদার বেনিফিট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল বসিরহাট বিএসএসএ স্টেডিয়ামে। উদ্যোগের প্রশংসা করে এগিয়ে এসেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এবং বসিরহাটের বিভিন্ন ক্লাব কর্তারা। ক্রীড়ামন্ত্রী একাদশ এবং বসিরহাট একাদশের মধ্যে এক প্রদর্শনী ফুটবলের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ তুলে দেওয়া হয় ফুটবলার ও প্রশিক্ষক গোপাল মজুমদারের হাতে। এক সময়ে বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্তে ১৮টি কোচিং ক্যাম্পে ছোট ছোট ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন গোপালবাবু। এখন আগের মতো প্রশিক্ষণ দিতে না পারলেও সুযোগ পেলেই চলে যান খেলার মাঠে ছেলেদের ফুটবল শেখাতে। ফুটবল পাগল এমন একজনের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস, প্রাক্তন ফুটবলার মিহির বসু, অলোক দাস, নীলু ঘোষ-সহ অন্য খেলোয়াড়েরা। প্রদর্শনী ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা। খেলা দেখতে উপচে পড়েছিল ভিড়। মাঠে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়, বসিরহাটের পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদার, এসডিপিও আনন্দ সরকার, অমিত মজুমদার এবং কয়েক জন চলচ্চিত্রশিল্পীও। ক্রীড়ামন্ত্রী একাদশের পক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় লুলু।
খেলা পরিচালনা করেন সুকোমল বসু, বাসুদেব দাস, স্বপন বিশ্বাস এবং প্রশান্ত সানা। খেলার পরে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গোপালবাবুর হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। |