দু’টি জেলায় চিহ্নিত তেত্রিশটি সমবায়
উত্তরে চাষ বাড়ানোর চেষ্টা মৎস্য দফতরের
মাছ চাষে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যাতে উত্তরবঙ্গও পাল্লা দিতে মৎস্য দফতর একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, মৎস্য সমবায়গুলিকে আর্থিক সাহায্য, একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর, বাড়িতে ছোট পুকুরে মাছ চাষের জন্য আর্থিক সাহায্যের মতো ওই সমস্ত প্রকল্পগুলি চলতি আর্থিক বছরে শেষ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। এমনকী, সাইকেলে চড়ে যে সমস্ত বিক্রেতা মাছ বিক্রি করেন তাঁদের ‘ইনসুলেটেড’ বা তাপনিরোধক বাক্স বিলি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দফতরের দার্জিলিং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ অধিকর্তা তিমিরবরণ মণ্ডল বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে উত্তরবঙ্গের মাটি আলাদা। সারা বছর জল ধরে রাখা কঠিন। তার পরেও এখানেও সারা বছর মাছ চাষ সম্ভব। সে কথা মাথায় রেখেই ওই সমস্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রূপায়ণ হলে উত্তরবঙ্গেও মাছের জোগান বাড়বে।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ডোবা থাকে। পরিচর্যার অভাবে সেগুলি কচুরিপানায় ভরে থাকে। এ বার সেগুলিই সংস্কার করে মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মৎস্য দফতর। পুকুর পিছু প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে এই ধরনের ৬০টি পুকুর তৈরি করা হবে। একই ভাবে মাছের চারা তৈরির জন্যও দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে এই ধরনের ৯টি পুকুরের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। কোচবিহারে পুকুর পিছু ৩০ হাজার এবং জলপাইগুড়িতে ৬০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দার্জিলিঙে ঝোরার জল দিয়ে এই ধরনের ৪টি পুকুর তৈরি করা হবে। সেগুলির পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হবে। কোচবিহারে মাছের চারা তৈরির জন্য একটি বড় মাপের পুকুর তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা টাকা ব্যয়ে মৎস্য দফতরই সেটি তৈরি করবে। পরে সেটি সমবায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শিলিগুড়ি তো বটেই, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারেও এখন সকাল হলেই পাড়ায় পাড়ায় মাছ বিক্রেতাদের দেখতে পাওয়া যায়। সাইকেলের পিছনে গামলায় মাছ নিয়ে বিক্রি করেন তাঁরা। বেলা বাড়লেই গরমে মাছ নষ্ট হতে শুরু করে। বিক্রেতাদের অনেকেই তখন বাধ্য হন সস্তায় মাছ বিক্রি করে দিতে। অনেককেই এই কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এই সমস্যা মেটাতে মৎস্য দফতর থেকে ‘ইনসুলেটেড’ বা তাপনিরোধক বাক্স বিলির পরিকল্পনা হয়েছে। তবে এই সমস্ত বাক্স কেবলমাত্র গ্রামাঞ্চলে বিলি করা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া তালিকা ধরেই কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ১০০টি করে এবং শিলিগুড়ি ও দার্জিলিঙে যথাক্রমে ৬০ ও ৪০টি করে বাক্স বিলি করা হবে। যে ধরনের বাক্সা আইসক্রিম রাখা হয় তেমন তাপনিরোধক বাক্স জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ৫টি করে বিলি হবে। প্রতিটির জন্য বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকা। সম্প্রতি মৎস্য দফতর জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর তৈরির কাজে প্রচারে নেমেছে। ওই প্রকল্পে জলপাইগুড়িতে ২টি এবং কোচবিহারে ৪টি বড় পুকুর হয়েছে। যে সমস্ত সমবায় নিয়মিত অডিট করে এবং বার্ষিক সাধারণ সভা হয়েছে তাদের মাছ চাষের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ১৩টি এবং কোচবিহারে ২০ সমবায়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। কালিম্পং মহকুমার রিয়াংয়ে মাছের চারা তৈরির কেন্দ্রটি চাঙা করা হবে। ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.