বাম আমলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের হাত থেকে বৃত্তিশিক্ষা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কয়েক বছরের ব্যবধানে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে ফের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্যের নতুন সরকার। আগামী শিক্ষাবর্ষেই এই নয়া ব্যবস্থা চালু করে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। বুধবার এ কথা জানান স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন।
স্কুলশিক্ষা সচিব জানান, এ বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্যের পাশাপাশি ‘কর্মশিক্ষা’ নামে একটি শাখা চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন। ওই শাখায় বৃত্তিমূলক বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হবে। এর পাঠ্যক্রম তৈরি, পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশ, শংসাপত্র প্রদান-সহ সব কাজই করবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই পঠনপাঠনের জন্য ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সাহায্য নেওয়া হবে। কর্মশিক্ষা শাখায় উত্তীর্ণ ছেলেমেয়েরা যাতে বিভিন্ন পলিটেকনিকে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান, সেই জন্য কারিগরি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সচিব।
বছর কয়েক আগেও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদই বৃত্তিমূলক শাখার পঠনপাঠনের বিষয়টি পরিচালনা করত। কিন্তু সংসদের উপরে ‘চাপ’ বাড়ছে বলে বৃত্তিমূলক পড়াশোনার জন্য একটি পৃথক সংসদ তৈরি করেছিল তৎকালীন সরকার। পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে গেলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কী ভাবে এই বাড়তি কাজ সামলাবে, তা নিয়ে সংসদের ভিতরেই প্রশ্ন উঠেছে। এর পরে বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের ভূমিকা কী হবে, তা-ও স্পষ্ট নয়। কারণ এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। |