পার্থ-অমিতের সঙ্গে কথা জার্মান মন্ত্রীর |
পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন জার্মানির পরিবহণ, নির্মাণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পিটার রামসাউয়ার। তাঁর নেতৃত্বে ২২ সদস্যের একটি জার্মান বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বুধবার মহাকরণে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিমেন্স-সহ জার্মানির বেশ কিছু নামী শিল্পসংস্থার শীর্ষ কর্তারা। জার্মান মন্ত্রী পরে বলেন, ‘কমিউনিস্টদের হারিয়ে’ ১০ মাস আগে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার যে সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। নতুন এই সরকারকে সব রকম সহযোগিতা করবে জার্মানি। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প ও বিমানবন্দর তৈরিতে জার্মান বিনিয়োগের উপরে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া পরিকাঠামো, নগরোন্নয়ন ও উৎপাদনভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পার্থবাবু বলেন, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর উন্নয়নের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাতে জার্মান প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সড়ক, রেল-সহ যে কোনও ধরনের নির্মাণ, উৎপাদনভিত্তিক শিল্প, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, মোটরগাড়ি শিল্প, বিমানবন্দর, পরিবহণ ও নগরোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে জানান রামসাউয়ার। তিনি বলেন, “ভারত-জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে জার্মানি। সে জন্যই এক বছরের মধ্যে তিন বার ভারতে এলাম আমি।”
|
রাজ্যে জুনেই চালু হচ্ছে ডিজিটাল রেশন কার্ড |
প্রায় পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে ‘ডিজিটাল বারকোড’-যুক্ত রেশন কার্ড দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ওই রেশন কার্ড চালু হচ্ছে ১ জুন। প্রথম দফায় এই ধরনের রেশন কার্ড বিতরণ করা হবে কলকাতার বৌবাজার এবং হাওড়ার সাঁকরাইল অঞ্চলে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার এ কথা জানান। কেমন হবে ডিজিটাল বারকোড রেশন কার্ড? খাদ্য দফতরের আমলারা জানান, এই রেশন কার্ড দেখতে অনেকটাই সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের মতো। বারকোডের মধ্যেই থাকবে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় তথ্য। ব্যাঙ্কের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মতোই এই কার্ড রেশন দোকানে নিয়ে গেলে যন্ত্রে ঢুকিয়ে যাবতীয় লেনদেন করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে চার রঙের ডিজিটাল স্মার্ট রেশনকার্ড তৈরি হবে। কী কী রঙের কার্ড হবে, তা ঠিক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কার্ডের শ্রেণি-ভিত্তিক রং: দারিদ্রসীমার উপরে থাকা (এপিএল) বাসিন্দাদের কার্ড হবে আকাশি নীল, দারিদ্রসীমার নীচের (বিপিএল) লোকেদের কার্ড কচি কলাপাতা রঙের, অন্নপূর্ণা অন্ন যোজনার কার্ড হবে গোলাপি এবং অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার কার্ডের রং হাল্কা গোলাপি। রাজ্যে বারকোড-যুক্ত রেশন কার্ড তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২৯১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে নজরদার কমিটির চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যেই গণবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের সব গুদাম ও ডিস্ট্রিবিউটর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিতে হবে।
|
যোজনা-বৃদ্ধির প্রশংসায় প্রদীপ |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে রাজ্যের জন্য যোজনা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তকে ‘স্বাগত’ জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। যোজনা কমিশনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের ২৪ ঘন্টা পর বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের উন্নয়নে আর্থিক সাহায্য দিতে কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার সঙ্কুচিত! যোজনা কমিশনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার পরে নিশ্চয় সেই অভিযোগ ভুল বলে প্রমাণিত হল। রাজ্যের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সুস্থির করতে আর্থিক সাহায্য দিতে কেন্দ্র যে ভাবে এগিয়ে এসেছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই।” কেন্দ্র টাকা দেয় না বলে সম্প্রতি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভির মধ্যে যে ‘বাগ্যুদ্ধ’ হয়েছিল, তা আর হবে না বলেই আশা তাঁর।
|
ইমাম-ভাতার প্রতিবাদে মিছিল করল বিজেপি |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইমাম-ভাতা চালুর ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে গাঁধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করল রাজ্য বিজেপি। তাদের স্লোগান ছিল ‘ইমাম-ভাতা নয়, বেকার-ভাতা চাই’। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ান বিজেপি কর্মীরা। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য তথাগত রায়, সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আরশাদ আলম প্রমুখ ওই কর্মসূচিতে ছিলেন। এ দিনই রাজ্যে মহিলাদের উপর ক্রম বর্ধমান ‘হিংসা এবং ধর্ষণের’ ঘটনার প্রতিবাদে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করে এসইউসি-র মহিলা সংগঠন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভাও করে তারা। সেখান থেকে তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল মহাকরণে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
|
প্রাথমিক শিক্ষকদের খুশিমতো বদলি করার কারণ কী, শিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আবেদনকারী সাত শিক্ষকের অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের কোনও বদলি নীতি নেই। বুধবার আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করতে পারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু অধিকাংশ জেলাতেই কাউন্সিল একটিও বৈঠক করেনি। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে বদলি করছেন। এটা বিধিবহির্ভূত। |