|
|
|
|
কামরায় ৫০ হাজার কুড়িয়ে পেয়েও ফিরিয়ে দিলেন চিত্রা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
মা’কে ডাক্তার দেখিয়ে কলকাতা থেকে ফিরছিলেন। ট্রেন প্রায় ঢুকে পড়েছে কৃষ্ণনগর স্টেশনে। আচমকাই তাঁর চোখে পড়েছিল সিটের নিচে ৫০০ টাকার নোটের একটা তাড়া। প্রথমটায় হকচকিয়ে গিয়েছিলেন নবদ্বীপের কলাবাগানের বছর পঞ্চাশের চিত্রা দাস। তারপর তাঁর নিত্য বানি ঘুরে ঠিকের কাজ করা রোজগার, উপরি আয়ের জন্য বিড়ি বাঁধার প্ররিশ্রম সব ভুলে টাকার তোড়াটা তুলে ধরে কামরায় তাকা অন্যদের জিজ্ঞেস সুরু করেছিলেন, “দেখুন, এই টাকাটা আমি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি। কারও পড়ে যায়নি তো!” |
|
মায়ের সঙ্গে চিত্রাদেবী। |
মাঝ বয়সী মহিলার হাতে নোটের তাড়া দেখে প্রথমে কিছুটা অবাকই হয়ে গিয়েছিলেন সহ-যাত্রীরা। তাদের কারও নয় জেনে এ বার আরও হতভম্ব চিত্রীদেবী জানতে চেয়েছিলেন, “তাহলে এ টাকা নিয়ে আমি কী করব!” এ বীার মুস্কিল আসান হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন ট্রেনের কামরায় তাকা এক পুলিশ কর্মী। তাপস ঘোষ নামে ওই যাত্রী নবদ্বীপ থানায় কর্মরত। তিনিই চিত্রীদেবীকে নিয়ে যান কৃষ্ণনগর জিআরপি থানায়। রেল পুলিশের হাতে টাকাটা তুলে দিয়ে তবে না শান্তি! তাপসবাবু বলেন, “ওই মহিলা চাইলেই সবাই নেমে যাওয়ার পর টাকাটা কুড়িয়ে নিজের কাছে রেখে দিতে পারতেন। কিন্তু তাতো করেননি।” কৃষ্ণনগর জিআরপি থনার ওসি সাধনগোপাল মণ্ডল বলেন, “কোনও জিনিস, কুড়িয়ে পেলে সচরাচর কেউ থানায় জমা দেন না। ওই মহিলা নজির হয়ে থাকলেন।” আর থানা থেকে বেরিয়ে চিত্রাদেবী বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। জানি টাকার কী দাম। তাই অন্যের টাকায় লোভ করতে পারিনি।” |
|
|
|
|
|