|
|
|
|
১২৭ শিক্ষক বদলি, সরব বাম-কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
মুর্শিদাবাদের ১২৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে অবৈধ ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনগগুলি। তাতে সায় দিয়েছিল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের নেতারাও। বুধবার সে ব্যাপারেই সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের অভিযোগকে আরও এক বার সামনে আনল বামফ্রন্টের চারটি শিক্ষক সংগঠন। এ দিন, বহরমপুরে সিপিএম, আরএসপি, ফরওর্য়াড ব্লক, এবং সিপিআই-এর প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নিয়মবিধি অমান্য করে শিক্ষার ‘অধিকার আইন’ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তরুন দাস। তিনি বলেন, “গত ২ এপ্রিল বদলি করা ১২৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ১০ জনকে দু’টি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। ওই ১০ জনকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম বার বদলি করা হয়। ওই দিন (২ এপ্রিল) ফের তাঁদেরই অন্য একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। একটি স্কুলে এক জন প্রধানশিক্ষক থাকা সত্ত্বেও সেই স্কুলে আরও এক জনকে প্রধানশিক্ষক হিসাবে অবৈধ ভাবে বদলি করা হয়েছে। ওই বদলির ফলে কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক।”
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের সভাপতি তৃণমূলের সাগির হোসেন অবশ্য সেই দাবি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে শিক্ষক বদলির বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের সভাপতির চূড়ান্ত ক্ষমতা রয়েছে। সেই ধারা অনুসারে ১২৭ জন নয়, গত ২ এপ্রিল ৭০ জনকে বদলি করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “বহরমপুর থেকে ৩৫ দূরের ডোমকলের শিবনগর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষিকাকে তাঁর বাড়ির কাছে বদলি করা হয়েছে। অন্য এক শিক্ষিকার একটি হাত নেই। প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের স্কুল থেকে তাঁকে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করা হয়েছে। এটা অন্যায়? বাম আমলে আবেদন করেও এঁদের বদলি করা হয়নি।” |
|
|
|
|
|