|
|
|
|
থমকে করিমপুর বাসস্ট্যান্ড প্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর |
করিমপুরে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড প্রকল্প আপাতত বিশ বাঁও জলে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় আলোচনা, প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চিঠিচাপাটি চললেও এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে করিমপুরে বাসস্ট্যান্ড আদৌ কোন দিন হবে তো?
করিমপুর ১ ব্লক অফিস থেকে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ণ প্রকল্পের ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা জেলায় ফেরত চলে যাওয়ার পর বাসস্ট্যান্ড নিয়ে হতাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। করিমপুর ১ বিডিও সুমন্ত রায় বলেন, ‘‘করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের মধ্যেই বাসস্ট্যান্ড তৈরির কথা ছিল। এই বিষয়ে এলাকার সমস্ত রাজনৈতিক দল, মার্কেট কমিটি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, স্থানীয় পঞ্চায়েত, বাসমালিকদের নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে। সকলকে নিয়ে একটা কমিটিও করা হয়েছে।” রেগুলেটেড মার্কেটে যাতে জমি পাওয়া যায় সেই বিষয়ে বিপণন দফতরের কাছে একটা আবেদনও করা হয়েছিল ঠিক ছিল সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের ওই টাকা বাসস্ট্যান্ডের বেশ কিছু কাজকর্মের জন্য খরচ করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জমির ব্যাপারে কোন অনুমোদন না পাওয়ায় ওই টাকা জেলায় ফিরে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
প্রস্তাবিত বাসস্ট্যান্ডের জমি। ছবি: কল্লোল প্রামাণিক। |
করিমপুর ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের তারক সরখেল বলেন, ‘‘আসল কারণ হ’ল সদিচ্ছার অভাব।” সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত করিমপুরে বাসস্ট্যান্ড হয়নি। প্রশাসন সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসার পরে বাস স্ট্যান্ড নিয়ে যে উৎসাহ দেকা দিয়েছিল, টাকা ফিরে যাওয়া খবর ছনিয়ে পড়তেই সেই উৎসাহ ক্রমে ক্ষোভে রূপান্তরিত হয়েছে। ক্ষুব্ধ তারকবাবু বলছেন, “বিপণন দফতরটাও এখন তৃণমূলের হাতে। অথচ এই অনুমতিটুকু এখনও পাওয়া গেল না। অথচ রেগুলেটেড মার্কেটের যে জায়গাতে বাসস্ট্যান্ড হবে বলে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল সেখানে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাটি ফেলার কাজও শুরু করা হয়েছিল।” তাঁর অভিযোগ, অথচ মার্কেটিং কমিটি এর আগে মুড়ি মিল সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও তা সরানো হয়নি।
তেহট্টের মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটে বাসস্ট্যান্ড তৈরির বিষয়ে প্রথমে জেলা প্রশাসনের কাছে একটা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পরে প্রশাসন থেকে আবার বিপণন দফতরেও একটা প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই জমিতে বাসস্ট্যান্ড তৈরির অনুমোদন মেলেনি। ব্লক থেকে তাই টাকা ফেরত গিয়েছে।’’
করিমপুর ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চিররঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ডের ব্যাপারে আমরাও কিন্তু চুপ করে বসে নেই। আমরা একাধিকবার কৃষি বিপণন দফতরে গিয়েছি ও মন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই বাসস্ট্যান্ডের বিষয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’ কিন্তু কবে? সে প্রশ্নের উত্তর জানে না করিমপুর। |
|
|
|
|
|