টুকরো খবর
মাকে টাকানা-দেওয়ায় গ্রেফতার ছেলে
আদালত নির্দেশ দিয়েছিল মা’কে প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে টাকা দেয়নি ছেলে। তাই আদালতের নির্দেশে পেশায় শিক্ষক ওই ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে আনন্দপুর থানার দুড়িয়া-রাধাবল্লভপুর গ্রামে। যদিও এ দিনই আদালতে ২ হাজার টাকা জমা দেওয়ায় ধৃতকে খালাস করে দিয়েছে আদালত। দুড়িয়া-রাধাবল্লভপুরের বাসিন্দা সরস্বতীবালা ঘোষ বড় ছেলে শ্যামলকুমার তাঁকে দেখেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন। শ্যামলবাবু প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। জমিজমাও রয়েছে। ২০০৮ সালে আদালতে এই মামলা শুরু হয়। ২০০৯ সালের ২৯ অগস্ট মেদিনীপুর আদালত মায়ের ভরনপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেয় শ্যামলবাবুকে। মাসের নির্দিষ্ট দিনে আদালতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তিনি তা দেন না। ফের আদালতে মামলা করতে হয় সরস্বতীদেবীকে। তারপর ছেলে টাকা দেয়। মার্চেও এক ঘটনা ঘটে। এ বার আদালতের নির্দেশ বুধবার পুলিশ শ্যামলবাবুকে গ্রেফতার করে। এ দিন চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৌরভ সুব্বার কাছে শ্যামলবাবু জানান, সমস্যা থাকায় টাকা দিতে পারেননি। সেই সঙ্গে এ দিনই ২ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও জানান। বাকি ৫০০ টাকা পরে দেবেন প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর আদালত তাঁকে খালাস করে দেয়। সরস্বতীদেবীর আইনজীবী সুব্রত দাসের কথায়, “মাঝে মধ্যেই সেই নির্দেশ অমান্য করছিল ছেলে। এ বার তাই আদালত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল। ২ হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পেয়েছে ছেলে।”

সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক বাছতে ভোট
পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিআইয়ের নতুন জেলা সম্পাদক হলেন নিরঞ্জন ঘড়া। নির্বাচিত হতে ভোটাভুটির সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। গত বারের জেলা সম্পাদক ছিলেন কামাক্ষ্যানন্দন দাস মহাপাত্র। অসুস্থতার জন্যই তিনি এই পদ থেকে সরে যান। নিরঞ্জনবাবু ছিলেন সহ-সম্পাদক। গত ডিসেম্বরে দলের জেলা সম্মেলনের প্রায় চার মাস পর গত রবিবার নতুন সম্পাদক নির্বাচনের জন্য জেলা কমিটির এক বৈঠক হয়। তমলুকে দলের জেলা কার্যালয়ে ওই বৈঠকে ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার ও বিদায়ী জেলা সম্পাদক কামাক্ষ্যানন্দনবাবু। কিন্তু নতুন জেলা সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত জেলা কমিটির ৯৫ জন সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ৯২ জন ভোটাভুটিতে সামিল হন। নিরঞ্জন ঘড়া ও জেলা কমিটির অন্য নেতা সুধাংশু আদকের মধ্যে এক জনকে বাছতে ভোট হয়। নিরঞ্জনবাবুর পক্ষে ৪৮ জন ও সুধাংশুবাবুর পক্ষে ৪৩ জন ভোট দেন। একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। নিরঞ্জনবাবু বলেন, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

নয়াচরে কেন্দ্রীয় দল
বুধবার নয়াচরে ‘ইউনিভার্সাল সাকসেস গ্রুপে’র (ইউসিপিএল) প্রস্তাবিত তাপবিদ্যু কেন্দ্রের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে গেলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ দু’টি লঞ্চে চেপে হলদিয়া থেকে নয়াচরে গিয়ে পৌঁছন তাঁরা। এরপর ওই লঞ্চেই দ্বীপের চারদিক পরিদর্শন করেন। এলাকার মাটি ও জল পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সি আর বাবু, জে এল মেহেতা, টি কে ধর। সঙ্গে ছিলেন ইউসিপিএলের তরফে প্রসূন মুখোপাধ্যায়, প্রদীপ মোদী, আর কে সায়গল, সমীর কুমার বিশুই প্রমুখ। প্রসঙ্গত, নয়াচরে ‘পরিবেশ বান্ধব’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাপবিদ্যু কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউসিপিএল। ৯০০ একর জায়গায় প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্পে ‘সুপার ক্রিটিক্যাল থার্মাল পাওয়ার’ ব্যবস্থার মাধ্যমে দূষন অনেকটা কম হবে বলে সংস্থার দাবি। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি একটি জনশুনানির আয়োজন করেছিল পরিবেশ দফতর। ২২ জানুয়ারি রাজ্যের নগরোন্নয়ন সচিব দেবাশিস সেন নয়াচর পরিদশন করে যান।

স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী
মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন ধরে ঝাড়গ্রামের সেবায়তন বালিকা বিদ্যালয় (মাধ্যমিক)-এর সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হল। মঙ্গলবার উৎসবের উদ্বোধন করেন সেবায়তন সৎসঙ্গ মিশন আশ্রমের আচার্য স্বামী বিরজানন্দ গিরি মহারাজ। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম রাজ-পরিবারের সদস্য সমাজসেবী শিবেন্দ্রবিজয় মল্লদেব, স্কুলের প্রাক্তনী তথা বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক চুনিবালা হাঁসদা প্রমুখ। বুধবার শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। স্কুল ভবন সংস্কারের জন্য ৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা তাঁর দফতর থেকে মঞ্জুর করা হয়েছে বলে সুকুমারবাবু জানান। উৎসবের দু’টি দিনেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান শিক্ষিকা অর্চনা করণ জানান, ১৯৬২ সালে এলাকায় নারীশিক্ষার লক্ষ্যে সেবায়তন সৎসঙ্গ মিশন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী সত্যানন্দ গিরি মহারাজের উদ্যোগেই এই স্কুলটির সূচনা হয়। এই স্কুলের বেশ কিছু ছাত্রী পরবর্তী জীবনে সমাজের নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

কাঁথিতে সম্মেলন
কাঁথি পুরসভার ডরমেটরি ময়দানে সম্মেলন করল শহরের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। মঙ্গলবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। পুরপ্রধান ছাড়াও বক্তাদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলার ও বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট অথরটির (সুডা) অধিকর্তা মণীন্দ্রনাথ প্রধান, গৌতম পাল, কাউন্সিলার সত্যেন্দ্র নাথ জানা প্রমুখ। কাঁথি পুর এলাকায় দেশবন্ধু ও দেশপ্রাণ মহিলা গোষ্ঠী নামে দু’টি ইউনিট কাজ করছে। দেশবন্ধু ইউনিটের অধীনে ১২২টি গোষ্ঠী ও দেশপ্রাণ ইউনিটের অধীনে ১৮৯টি গোষ্ঠী রয়েছে। মণীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য কাঁথি শহরে বিপণন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সুডা যথাসাধ্য সাহায্য করবে।”

দেহ উদ্ধার
খালপাড় থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। মৃত শুভেন্দু দাসের (১৮) বাড়ি সুতাহাটার রঘুরামপুরে। মঙ্গলবার রাতে খালপাড় থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বিষক্রিয়ায় এই মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। এ দিন রাতে চৈতন্যপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পরে ওই সব্জি ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে বাবা উত্তম দাসের তর্কাতর্কি হয়। রাগের মাথায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই যুবক। গভীর রাতে সুতাহাটা থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে বুধবার হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠায়। পুলিশের অনুমান, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।

দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার
পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সুনীল চৌধুরী। বুধবার নতুন দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। এর আগে তিনি পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদায়ী পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি গিয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। এ দিনই কাজে যোগ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন। বিদায়ী পুলিশ সুপার অশোক প্রসাদের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। সুকেশবাবুর এর আগে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। অশোক প্রসাদ মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের নতুন ডিআইজি হলেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.