জীর্ণ সেতু, দুর্ভোগে গ্রামবাসী
ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এগরার ষড়রং থেকে আলংগিরি রাস্তার উপর থাকা তিরিশ ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতু। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে তা মেরামতের ব্যবস্থা না করায় সমস্যায় পড়েছেন এগরা-১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় আটটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিভিন্ন দুর্ঘটনারও সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। ওই রাস্তার উপযোগী ছোট যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়ি তৈরির উপকরণ, এলাকার উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য পরিবহণে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশের কৃষিজমির উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ ও কৃষিজীবীরা। পরিস্থিতি এমনই যে, মহকুমা হাসপাতালে রোগী আনতে ও অন্যান্য পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রায় বারো কিলোমিটার ঘুরপথ নিতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় জলের তোড়ে রাস্তার প্রায় চল্লিশ ফুট অংশ ভেসে যায়। পাশের নিকাশি খালের কিছু অংশে ও ওই ভেসে যাওয়া রাস্তার অংশে গভীর গর্তও তৈরি হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে প্রথমে বাঁশের ও পরে কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, “পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ওই সেতুগুলি তৈরি করা হলেও ভারী যান চলাচলের কারণে সেতুটি বছরে কয়েকবার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা আবার মেরামতও করা হয়। বারবার মেরামত করা বা নতুন সেতু তৈরি করার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা আমাদের পক্ষে বরাদ্দ করা সম্ভব নয়। তাই, এ ব্যাপারে জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়েছিল।” তিনি জানান, জেলা পরিষদ রাস্তা তৈরির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে এবং ওই রাস্তা বিআরজিএফ থেকে পাকা করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। সম্ভব হলে তখনই কংক্রিটের সেতু করা যেতে পারে। সিদ্ধেশ্বরবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপাতত সেতুটি ভেঙে দিয়ে ওই অংশ মাটি দিয়ে ভরাট করে ফের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। ধান কাটা হয়ে গেলেই ওই কাজ করা হবে।’’ বরিদা গ্রামের অচিন্ত্য কুণ্ডু, নিত্যানন্দ মাইতি, ষড়রং গ্রামের জগন্নাথ গিরি, নারায়ণ জানাদের পাশাপাশি সিপিএম নেতা কানাইলাল পাত্র, কংগ্রেস নেতা মিন্টু রায় বলেন, “সেতুটি নিম্নমানের হওয়ায় তা বারবার ভেঙে যাচ্ছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তা পণ্য পরিবহণের জন্য মানুষ ব্যবহার করবেনই। তার জন্য প্রয়োজন ছিল কংক্রিট সেতুর। সেতু ভেঙে মাটি ভরাট করলে বর্ষার সময় নিকাশি সমস্যা হবে।” যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, বন্যার আগে এই অংশে নিকাশি ব্যবস্থা ছিল না। তাই নিকাশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.