|
|
|
|
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে
টাকা না-আসায় ক্ষোভ কাঁথিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
প্রশাসন থেকে পরিমিত অর্থসাহায্য না মেলায় একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করিয়েও শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছে না পঞ্চায়েতগুলি। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা তাই কোথাও পঞ্চায়েতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তো কোথাও পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও করছেন। সোমবারই কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের আমতলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বঙ্কিম মাইতিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান একদল গ্রামবাসী। এই পরিস্থিতিতে আমতলিয়া ও আশপাশের পঞ্চায়েত প্রধানেরা মঙ্গলবার দেশপ্রাণ ব্লক অফিসে এসে দ্রুত অর্থসাহায্যের
আবেদন জানালেন।
প্রধানদের সঙ্গে একমত দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির ৮টি পঞ্চায়েতের ১০১টি সংসদে গড়ে চারটি করে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এক-একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গড়ে ৩০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকার কাজ হলেও তারা ৫০ হাজার টাকা করে পাওয়ায় শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি দিতে পারছে না। পঞ্চায়েত সমিতির ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একশো দিনের প্রকল্পের ২ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।” যদিও বকেয়ার পরিমাণ এতটা বেশি নয় জানিয়ে জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, “গত আর্থিক বছরের শেষ দিকে একশো দিনের প্রকল্পে প্রচুর কাজ হয়েছে। কাজ অনুপাতে টাকা কম পাওয়া গিয়েছে। তাই অনেক জায়গায় টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রাপ্য টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্যকেও জানানো হয়েছে। দেশপ্রাণ ব্লকে মার্চ মাসে বেশি কাজ হওয়ায় কিছু টাকা বকেয়া থাকতে পারে। কিন্তু তা কখনওই দু’কোটি নয়।”
পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের আরও অভিযোগ, একই প্রকল্পের ‘ভেটিং’ (পরিকল্পনা তৈরি) হয়ে যাওয়ার পরে ফের ‘রি ভেটিং’ করতে বলায় সমস্যা হচ্ছে। যদিও জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী জানান, কাউকেই রি-ভেটিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে যে সব প্রকল্প ৩১ মার্চের পরেও চলছে, সেগুলির ২০১১-১২ আর্থিক বছরের হিসাব আলাদা করে করতে। এরপর ১ এপ্রিল থেকে ওই কাজই চলবে নতুন নম্বর দিয়ে (২০১২-১৩ আর্থিক বছরের জন্য)। যাতে দু’টি পৃথক
আর্থিক বছরের হিসাব আলাদা করে করা যায়। |
|
|
|
|
|