|
|
|
|
গাজনে ‘ভক্তা’ হতে মানা, দড়ির ফাঁসে বালকের দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
গাজনের ‘ভক্তা’ হতে চেয়ে জেদ ধরেছিল বছর এগারোর শিবশঙ্কর পাত্র। ইচ্ছে ছিল, পাড়ার কয়েক জনের সঙ্গে ওড়িশার চন্দনেশ্বর শিবমন্দিরে যাওয়ার। কিন্তু বাবা-মা রাজি হননি। কিছু ক্ষণের পরেই গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ মিলল ঘরে।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের শিবশঙ্কর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা জয়ন্ত পাত্র চাষবাস করেন, পরচুলা তৈরির কাজ করেন মা মিতালিদেবী। বছর চারেকের একটি বোনও রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বাবা-মায়ের উপরে রাগ করেই সে আত্মঘাতী হয়েছে। |
|
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিবশঙ্করের বাবা ও মা, পাশে একমাত্র সম্বল মেয়ে। নিজস্ব চিত্র |
যদিও তার বাবা-মায়ের মতে, গলায় দড়ি দিয়ে ভয় দেখাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮৫ কিলোমিটার দূরে চন্দনেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেদ ধরেছিল শিবশঙ্কর। নানা ভাবে বোঝালেও সে শুনতে চায়নি। রেগেমেগে ঘরে ঢুকে দরজা ভেজিয়ে দেয়।
ঘরের সামনেই বসে পরচুলা তৈরির কাজ করছিলেন মিতালীদেবী। তাঁর কথায়, “আগেও অনেক বার ও নানা কারণে রেগে গিয়ে দরজা বন্ধ করেছে। পরে গিয়ে আদর করতেই সব ঠিক। এ দিনও তা-ই হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু আধঘণ্টা পরে গিয়ে দেখি, কড়িকাঠ থেকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ছেলে ঝুলছে।” পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। জয়ন্তবাবু ও মিতালিদেবী দু’জনেই বলেন, “আত্মহত্যা করার ছেলে ও নয়। তেমন কিছু রেগেও ছিল না। মনে হয়, গলায় দড়ি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের সম্মতি আদায় করতে চেয়েছিল শুধু।” |
|
|
|
|
|