|
|
|
|
কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার: শুভেন্দু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেশপুর |
একটা সময় ছিল ‘লাল-দুর্গ’, সেই কেশপুরেই এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসক তৃণমূল। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠী-সংঘর্ষ বেধেছে। আহত হয়েছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করতে হয়েছে। যদিও বুধবার কেশপুরের এক সভায় সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, “এ সব সংবাদমাধ্যমের একটি অংশের অপপ্রচার। পারিবারিক বিবাদকেও এখন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলা হচ্ছে!” পাশাপাশি, সভায় উপস্থিত যুব কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, “এক হয়ে লড়াই করতে হবে। সিপিএম ফিরে আসতে পারে, এমন কিছু করবেন না।”
আগামী ২২ এপ্রিল যুব-তৃণমূলের জেলা সম্মেলন। বুধবার কেশপুরের এক সভাগৃহে তারই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকায় দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল। ক’দিন আগেও খেজুরবনি ও সংলগ্ন এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। বোমাবাজি হয়। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
শূন্যে গুলি চলে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এ সব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। সিপিএমের মদতেই কিছু লোক ফের অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এ দিন শুভেন্দুর বক্তব্যেও এরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে। তাঁর কথায়, “এখানে আমাদের অনেক যোগ্য নেতা রয়েছে। একই অঞ্চলে সভাপতি হওয়ার যোগ্য এমন অনেকে রয়েছেন। একই বুথে সভাপতি হওয়ার যোগ্য অনেকে রয়েছেন। কিন্তু এই সব পদে যে বসবেন, তাঁকে সকলের কথাই শুনতে হবে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করতে হবে।” নিজের বক্তব্যে এ দিন একাধিকবার ঘুরেফিরে ‘সন্ত্রস্ত’ কেশপুরের কথাই তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “গত দশ বছর এখানে ভোটই হয়নি। এখন কেশপুরে রাজনৈতিক স্বাধীনতা এসেছে! এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।”
বুধবারের সভাকে কেন্দ্র করে অবশ্য কোনও গোলমাল হয়নি। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি আশিস প্রামানিক, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাই, যুব সভাপতি শেখ আলহাজউদ্দিন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, কেশপুরে চিত্ত-অনুগামী এবং আশিস-অনুগামীদের মধ্যেই বিরোধ বাধে। সংঘর্ষ হয়। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই, এটা বোঝাতেই এ দিন এই দুই নেতাকে দু’পাশে রেখে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তার আগে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রকৃত গরিব মানুষের নাম বিপিএল তালিকায় নেই। কেশপুরের বহু গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। আগামী এক বছরের মধ্যে এই অবস্থা পাল্টানোর সুযোগ আসবে।” পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন,“ বুথে-অঞ্চলে সংগঠন তৈরি করতে হবে। এক হয়ে লড়তে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে সব বুথে ঘাসফুল ফোটাতে হবে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে আলোচনা করে মেটাতে হবে। ভুল করলে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, “সিপিএমের ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। অন্তত কয়েক দশক ওরা আর ফিরে আসতে পারবে না।” |
|
|
|
|
|