আইপিএল ফাইভের প্রথম সপ্তাহটা বেশ জমজমাট হল। টিমগুলো এখনও সবাই থিতু হচ্ছে, কম্বিনেশন তৈরি করছে এবং নিশ্চিত ভাবে পরে সপ্তাহগুলোর জন্য হিসেবনিকেশ সেরে রাখছে। দলে দলে দর্শকরা মাঠে আসছেন, প্রতিটি কেন্দ্র ঝলমল করছে এবং নিঃসন্দেহে আইপিএলের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ব্যাপারটা তৃপ্তি দিচ্ছে। আমার কেন জানি না মনে হচ্ছে এই আইপিএলে অন্য বারের তুলনায় অনেক হডাডাহাড্ডি লড়াই হবে এবং প্রথম কয়েকটা দিন দেখে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে না। লম্বা লিগে যেমন পয়েন্ট কাড়াকাড়ি হয়, তেমন হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ নিয়ে থাকবে বিভিন্ন রকম ভাবনা। প্রথম সপ্তাহের শেষ দিনটায় কেকেআর এবং দিল্লি দুটো ভাল জয় পেল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে কেকেআর-কে ম্যাচটা জেতাল গম্ভীর। দিল্লির নামী বিদেশিরা চলে এসেছে, ডেভিড ওয়ার্নার অবশ্য এখনও আসেনি। তা সত্ত্বেও পিটারসেন আর মাহেলা এসেই চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে ভূমিকা নিয়েছে।
মোহালিতে দ্বিতীয় অ্যাওয়ে ম্যাচটা খেলছে পুণে। প্রতিপক্ষ কিংস ইলেভেন নিজের দিনে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। যুবরাজের ঘরের মাঠে আমরা এই ম্যাচটা খেলছি। বিদেশে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়ে যুবি দেশে ফিরেছে এবং আমি সব সময় ওকে সুস্থ দেখতে চাই। ও একজন ফাইটার এবং আমার পরামর্শ হল, ঠিকঠাক বিশ্রাম নিক ও। অনেকেই ওর ক্রিকেট মাঠে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু করে দিয়েছেন, কিন্তু আমার মতে, যুবরাজের উচিত নিজের শরীরটা আগে দেখা। তাড়াহুড়ো করা কোনও দরকার নেই, কারণ বয়স কম ওর। অনেক সময় আছে, ক্রিকেটের খিদে আছে। ফের জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য অনেক সময় পাবে। ভারতীয় ক্রিকেটে ওর অবদান অনস্বীকার্য এবং এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, একটা সম্পূর্ণ সুস্থ শরীর ফিরে পাওয়া। ক্রিকেট অপেক্ষা করতেই পারে।
মোহালি এলেই জাতীয় দলের হয়ে এখানে খেলার স্মৃতি মনে পড়ে। আমার অবসর নেওয়ার সিরিজে এখানে আমি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলাম। এই উইকেটে বহু ভাল ইনিংস খেলা হয়েছে, অনেক স্মরণীয় জয় এসেছে। এখানকার মানুষ ক্রিকেটটা ভালবাসেন এবং প্রিয় ক্রিকেটারদের কদর করতে জানেন। মোহালি উইকেটে ব্যাটসম্যান ও বোলার, দু’পক্ষই কিছু না কিছু পায়। এই উইকেটে সবাই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চায়। এ বারের আইপিএলে এখানে এটাই প্রথম ম্যাচ এবং অবশ্যই দেখতে চাইব, উইকেট কেমন বা শিশিরের কোনও প্রভাব পড়ে কি না।
আমরা প্রথম দুটো ম্যাচ জিতেছি ঠিকই, কিন্তু এখনও লম্বা দৌড়। একটা একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই আমরা। যত দিন যাবে টুর্নামেন্ট জমবে এবং ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে হবে। পুণে টিমটা প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু আবার বলছি ম্যাচের দিনের উপর সব নির্ভর করে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ চলে এসেছে এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে চলেছে। এখন অবধি দুর্দান্ত সমর্থন পেয়েছি আমরা। ব্যাটিং বিভাগে দারুণ ভাবে তৈরি উথাপ্পা, স্মিথ ও মার্লন স্যামুয়েলস। দিন্দার সঙ্গে আশিস নেহরার জুটিটাও বেশ জমেছে। ডান হাতি-বাঁ হাতি কম্বিনেশন। ওরা দাঁড়িয়ে গেলে বাকিদের কিন্তু আমাদের বোলিং নিয়ে ভাবতে হবে। |