নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
থানা চত্বরেই মহিলা পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৫ মহিলা-সহ ন’জনকে। পুলিশ লাঠি চালায় বলেও অভিযোগ।
আরামবাগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলার জেলেপাড়ায় গোলমালের স্ূত্রপাত। এখানে সম্প্রতি বাড়ি করে এসেছেন আরামবাগ থানার মহিলা কনস্টেবল অনু মাল। তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে প্রতিবেশী মৃত্যুঞ্জয় বসুর বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন গিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অনুদেবীদের তা নিয়ে আপত্তি ছিল। প্রতিবেশীর সঙ্গে এই নিয়ে মন কষাকষিও হয় মাল পরিবারের।
মৃত্যুঞ্জয়বাবুদের বক্তব্য, তাঁদের বহু দিনের পুরনো বাড়ি। অনেক দিন আগেই লাইন টানা হয়েছে। অনুদেবীরা পরে বাড়ি করেছেন। তাঁদের জমির মাপে গোলমালের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দু’পক্ষের বচসার জেরে অনুদেবী ১১ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কয়েক দিন আগে। মঙ্গল ও বুধবার আদালতে আগাম জামিন নেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের নামে কেন থানায় নালিশ জানানো হল, তা ‘জানতে’ বুধবার অনুর বাড়ি হাজির হন পাড়া-প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, সে সময়ে হামলা চালানো হয় ওই কনস্টেবলের বাড়িতে।
ওই ঘটনার জেরে এ দিন ফের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অনু। পুলিশ এসে সোমনাথ সরকার নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। এতেই আগুনে ঘি পড়ে। প্রচুর লোকজন অনুর বাড়িতে এসে ভিড় করেন। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। জনতার বক্তব্য, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে অযথা এলাকা উত্তপ্ত করছেন অনুদেবীই। পুলিশ সে সময়ে লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ।
এরপরে থানায় শ’দুয়েক লোক হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সে সময়ে অনুদেবীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ফের লাঠি চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৯ জনকে।
অনুদেবীর দাদা সোমেনও পুলিশে কাজ করেন। মৃত্যুঞ্জয় বসু, বীরেশ্বর বসুদের অভিযোগ, ওই পরিবারটির পুলিশ মহলে ‘প্রভাব’ আছে বলে নানা ভাবে পাড়ার লোককে ‘হুমকি’ দেয়। জমির মাপে গোলমাল আছে বলেই ওদের বাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছে। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে বার বার। মানুষ ওদের উপরে ক্ষুব্ধ। আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগাড়িয়ার বক্তব্য, “থানায় এসে মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করা হয়েছে। এরই জেরে পুলিশ সুয়ো মোটোর ভিত্তিতে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” লাঠি চালানোর অভিযোগ অবশ্য স্বীকার করেননি তিনি।
পুলিশকর্মীর অপমৃত্যু। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের। পুলিশ জানিয়েছে অনুপকুমার দে (৪৭) নামে ওই কনস্টেবল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি রামনগর এলাকায়। বুধবার দুপুরে তিনি গাড়িতে করে টহলদারিতে বেরিয়েছিলেনু। যুগদিয়া বাজারের কাছে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। |