‘লিমকা বুক অব রেকর্ডস’-এ দেশের সর্ববৃহৎ রেল উদ্যানের স্বীকৃতি পেল নিউ কোচবিহার স্টেশন উদ্যান। দেশের বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে থাকা উদ্যানগুলির মধ্যে আয়তনের বিচারে ১ নম্বরে জায়গা করেছে কোচবিহারের এই স্টেশনটি। চলতি মাসে লিমকা বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের তরফে স্বীকৃতির শংসাপত্রও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল ম্যানেজার সচ্চিদ্দানন্দ সিংহ বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে নিউ কোচবিহার রেল স্টেশন উদ্যান সবথেকে বড় উদ্যানের স্বীকৃতি পেয়েছে। লিমকা বুক অব রেকর্ডসের তরফে স্বীকৃতির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” |
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ কোচবিহারের ওই উদ্যানটির আয়তন ৪ হাজার ২৯৮ বর্গমিটার। স্টেশনে ঢোকার মুখে ওই উদ্যানটিতে মরসুমি বিভিন্ন ফুল, নজরকাড়া বাহারি গাছ ছাড়াও প্রাচীণ স্টিম ইঞ্জিন রয়েছে। যাত্রীরা তো বটেই নানা কাজে স্টেশনে আসা বাসিন্দারা উদ্যানে বিশ্রাম করেন। ২০০৯-১১ সালের মধ্যে উদ্যানটির সংস্কার হয়। রেলের আধিকারিকরা জানান, রেলস্টেশন ও লাগোয়া চত্বর মানেই ঘিঞ্জি পরিবেশ বলে বেশির মানুষ মনে করেন। ওই উদ্যানটি দেখলে তাঁদের ধারণা বদলে যাবে। গত বছর এনএফ রেলের জেনারেল ম্যানেজার কেশব চন্দ্র উদ্যানটিকে প্রচারে আনতে উদ্যোগী হন। এর পরেই লিমকা বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে উদ্যানের তথ্য, সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠানো হয়। ১৯৬৪-৬৫ সালে রানিনগর- বঙাইগাঁও রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার পর নিউ কোচবিহারের গুরুত্ব বেড়ে যায়। সে সময়ই েউদ্যানের জন্য জমি চিহ্নিত হয়। উদ্যানটি দেশের সবথেকে বড় রেলস্টেশন উদ্যানের স্বীকৃতি পাওয়ায় সেটিকে আরও সুন্দর করা সাজার দাবি উঠেছে। কোচবিহার সিটিজেন ফোরামের সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “উদ্যানটি আমাদের গর্বের বিষয়। সেটিকে পরিকল্পনামাফিক সাজা দরকার।” এক আধিকারিক জানান, উদ্যানটি আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। |