|
|
|
|
আর্থিক ‘দুর্নীতি’, অভিযুক্ত বিডিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
‘বার্ড-ফ্লু’-র সময় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি সাহায্যের ক্ষেত্রে দরপত্র না ডেকে একটি এজেন্সিকে ‘টাকা পাইয়ে দেওয়ার’ অভিযোগ উঠল রামপুরহাট ১-এর বিডিও-র বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৮ জন কর্মাধ্যক্ষ (সিপিএম ৫, ফব, সিপিআই এবং নির্দলের ১ জন)। অভিযোগের প্রতিলিপি তাঁরা জেলাশাসকের কাছেও পাঠিয়েছেন। বিডিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শুক্লা সেনগুপ্তের দাবি, “২০০৮ সালে রামপুরহাট ১ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের ৯ হাজার ৩০০টি পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ছাগল বা শুকর পালন অথবা পশু পালনের ঘর বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। ২০১০ সালের শেষের দিকে পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ ও স্থায়ী সমিতিতে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। দাবি করেছিলাম উপভোক্তাদের ইচ্ছানুযায়ী কাজটা করা হোক। তা নিয়ে সভাপতির সঙ্গে মতপার্থক্য হয়। তখন সভা থেকে বেরিয়ে আসি।” তাঁর অভিযোগ, “তার পর থেকে কোনও সভায় আমাকে ডাকা হয়নি। সম্প্রতি আমাকে না জানিয়ে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা বিডিও বিলি করে দেন। নিয়ম ভেঙে তিনি একটি এজেন্সিকে ছাগল কেনার জন্য ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দেন।”
জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আলি হোসেনের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত সমিতির টেন্ডার কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে আমি এক জন। অথচ আমি এই টেন্ডার দেওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানতে পারিনি। কমিটির ৫ জন সদস্যের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেনেছি। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য শুক্লা সেনগুপ্তকেও জানানো হয়নি।” তাঁদের আরও অভিযোগ, “প্রাণিসম্পদ বিকাশ কর্মাধ্যক্ষকে উপেক্ষা করে টাকা তো বিলি করা হরয়েছে এবং দরপত্র আহ্বান করার ক্ষেত্রে অন্য কোনও এজেন্সিকে ডাকা হয়নি। এমন কী প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের যে এজেন্সিকে রয়েছে তাকেও দরপত্র দেওয়া হয়নি।” ওই দফতরের জেলা উপঅধিকর্তা তাপসকান্তি দাস বলেন, “বিষয়টি জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখব।”
যদিও রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও শান্তিরাম গড়াইয়ের দাবি, “এমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বা কোনও সরকারি দফতর থেকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বলা হয়নি।” তাঁর আরও দাবি, “কোনও টেন্ডারকে পাইয়ে দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য আমার কাছে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পড়েছিল। সেই মতো ৯টি পঞ্চায়েতে টাকা ভাগ করে বিলি করেছি। এ বার গ্রাম পঞ্চায়েত ঠিক করতে কার কাছ থেকে তারা ছাগল কিনবে।” রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের রুমকি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই এজেন্সিকে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে না যোগ্যতায় পেয়েছে আমি বলতে পারব না।” ওই এজেন্সির মালিক আতাউর রহমানের দাবি, “আমি যোগ্যতা অনুযায়ী দরপত্র পেয়েছি।” রামপুরহাটের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “অভিযোগ পত্র হাতে পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|