|
|
|
|
|
সিউড়ির জলসঙ্কট মেটাতে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
|
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সামনেই শহরের জলসঙ্কট নিয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কাউন্সিলর দীপক দাস।
সিউড়ি পুরসভা এলাকায় পানীয় জল সমস্যা ও তার সমাধানে বুধবার দুপুরে সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ (সুডা) এবং বর্ধমানের ‘মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট’ দফতরের একাধিক ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরা। সকলের সামনেই তৃণমূলের পুরপ্রধান উজ্জ্বলবাবু ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীপক দাসের কিছুটা বিতণ্ডা হয়। দীপকবাবু অভিযোগ তোলেন, পুরপ্রধান জল সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছেন। তিনি জলের জন্য নির্ধারিত টাকা অন্য খাতে খরচ করেছেন। পুরপ্রধান বলেন, “কর্মীদের পেনশন দিতে কিছু টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ, পুরসভার নিজস্ব আয় প্রায় নেই বললেই চলে।”
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এ বছর অগস্টের মধ্যেই সিউড়ির জল-সমস্যা মিটে যাবে। তবে তৃণমূল সাংসদ আর একটু সময় বাড়িয়ে বলেন, “পুজোর মধ্যে ঘরে ঘরে জল পৌঁছবেই।” এই সময় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর (এক সময় মার্কসবাদী ফরওওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন) ইয়াসিন আখতার পুরমন্ত্রীকে সরাসরি বলেন, “পুরসভার ভরসায় থাকলে এই জলপ্রকল্প কোনও দিনই হবে না। আগের পুরমন্ত্রীকে বলেছিলাম। আপনাকেও বলছি, প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে দিয়ে করানো হোক।” ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এই আবেদনে সাড়া দেননি।
পরে পুরপ্রধান বলেন, “আগের কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের সময় জলপ্রকল্পের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। অথচ বরাদ্দ ছিল, ৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকায়। ২০১০ সালে আমি পুরপ্রধান হওয়ার পরে মোট সাড়ে ৩ কোটি টাকা পেয়েছি। তাতে পাইপলাইন বসানোর কাজ হয়েছে। আর দু’হাজার পাইপলাইন বসালে এবং তিলপাড়ার নদীগর্ভ থেকে জল তোলার ব্যবস্থা হলেই শহরের জলকষ্ট অনেকটা মিটে যাবে।” তবে ঘটনা হল, সিউড়ি শহরের ৩, ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও পাইপলাইন বসেনি। |
|
|
|
|
|