জামিনে ছাড়া পেলেন দেওয়ানদিঘিতে তৃণমূল কর্মী বিদ্যুৎবরণ হাজরাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন সিপিএম নেতা-কর্মী। এই তিন জনের নাম প্রবীর তা, রূপকুমার গুপ্ত ও পীযূষকান্তি তা। তাঁদের আইনজীবী কমল দত্ত জানান, গত ২৯ মার্চ তিন জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তিন জন বর্ধমান আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ব্যক্তিগত ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে দেওয়ানদিঘিতে এই বিদ্যুৎবরণবাবুর দোকানে সিপিএমের পতাকা টাঙানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। গুরুতর জখম হন বিদ্যুৎবরণবাবু। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে পাল্টা হামলায় জখম হন সিপিএম সমর্থক রূপকুমারবাবু। তাঁকে হাসপাতালে ভতির্র্ করিয়ে ফেরার পথেই হামলার মুখে পড়ে নিহত হন সিপিএমের দুই নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন। পুলিশ তৃণমূল কর্মী বিদ্যুৎবরণবাবুকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রথমে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু সিপিএম কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। এই খবর প্রকাশিত হতে বর্ধমান থানার পুলিশ রূপকুমারবাবুকে মারধরের মামলাতেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা যোগ করে।
আইনজীবী কমলবাবুর দাবি, “অভিযুক্তদের মধ্যে পীযূষবাবুর বয়স প্রায় ৮০ বছর। তা ছাড়া প্রবীরবাবু নিজে প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন হত্যা মামলার অভিযোগকারী। তাই তাঁদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রান করাই অভিযোগকারীদের উদ্দেশ্য।” |