মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করে কাজ বন্ধের নোটিস ঝোলানো হল বর্ধমানের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানায়। পালিতপুরের ওই কারখানায় ৩০০ শ্রমিক কর্মরত।
শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ওই কারখানায় কাজ করেন তাঁরা। তবে বেতন মেলে মাসে মাসে। তাঁদের দাবি, ২০০৯ সালে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল প্রতি বছর পাঁচ টাকা করে দৈনিক মজুরি বাড়বে। সেই মতোই মজুরি বৃদ্ধি হচ্ছিল। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে চলতি আর্থিক বছরের গোড়ায় শ্রমিকেরা দাবি করেন, দৈনিক মজুরি দশ টাকা করে বাড়াতে হবে। কিন্তু মালিকেরা তা মানতে চাননি। |
বন্ধ ফটক। বুধবারের নিজস্ব চিত্র। |
কারখানার সিটু, আইএনটিইউসি এবং আইএনটিটিইউসি ইউনিয়ন একজোট হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানায়। কারখানার দুই শ্রমিক রঞ্জিত রায়, দানিশ চৌধুরী বলেন, “কর্তৃপক্ষ ১০ টাকা করে মজুরি বাড়াতে না চাওয়ায় আমরা বলি, আপাতত শ্রমিকদের ওই টাকাটা ধার হিসেবে দিয়েই তাঁদের প্রাণে বাঁচান কর্তৃপক্ষ।” আরও দু’জন বিকাশ মল্লিক ও সুকুমার রায় বলেন, “আমরা প্রথমে কোনও আন্দোলন করিনি। উৎপাদন বন্ধ না করেই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম যাতে ১০ টাকা বাড়তি দেওয়া হয়। কিন্তু ওঁরা একতরফা ভাবে কারখানাটি বন্ধ করে দেন মঙ্গলবার থেকে।”
কারখানায় গিয়ে কর্তৃপক্ষের দেখা মেলেনি। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার আর কে দ্বিবেদী বলেন, “আমি মালিকদের সঙ্গে কথা না বলে কিছু মন্তব্য করতে পারব না। তবে অস্বাভাবিক মজুরি বৃদ্ধির দাবি মানা সম্ভব নয়।”
বর্ধমানের জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেছেন, “ওই কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি মালিক পক্ষ বা শ্রমিক ইউনিয়ন, কোনও তরফেই অভিযোগ পাইনি। ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখব।” |