টুকরো খবর |
মশাগাঁ সেতু উদ্বোধনে মানস-শিশির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
|
একই মঞ্চে খোশ-মেজাজে শিশির অধিকারী ও মানস ভুঁইয়া। ছবি তুলেছেন সুব্রত গুহ। |
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কাঁথি ৩ ব্লকের মশাগাঁয় ওড়িশা কোস্ট ক্যানালের সেতুর উদ্বোধন রবিবার। রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে সেতুর উদ্বোধন করেন কাঁথির সাংসদ ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী। শিশিরবাবু বলেন, “স্থানীয় মানুষের কাছে এই সেতুটি অত্যন্ত দরকারি হলেও বাম-সরকার এ নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু নতুন সরকার দশ মাসের মধ্যেই সেতু চালু করে দিল। এর ফলে কুসুমপুর, বলাগেড়িয়া, কাঁথি, মারিশদা, ভুপতি নগর ও এগরা থানা এলাকার কয়েকলক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।” মানসবাবুরও অভিযোগ, ১ কোটি ৭০লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭২.৬০ মিটার লম্বা ও ৩.৫ মিটার চওড়া সেতুটির জন্য পূর্বতন সরকার ২৫ শতাংশ টাকাও বরাদ্দ অনুমোদন করেনি। দুই মেদিনীপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পের কাজও নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে আশ্বাস দেন মানসবাবু। এ দিনের অনুষ্ঠানে সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল, বিধায়ক দিব্যেন্দু অধকারী, বনশ্রী মাইতি, সেচ দফতরের সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুবীর লাহা, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পণ্ডিত, সেচ দফতরের উপ-সচিব দেবাশিস সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। এ দিনই কাঁথিতে কুলবেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শিশির অধিকারী। ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার এই প্রকল্পে ১০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবন তৈরির কথা রয়েছে।
|
পঞ্চায়েতে একা লড়বে কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাঁথি ১ ব্লকে একা লড়বে কংগ্রেস। শনিবার ব্লকের দুলালপুর অঞ্চল কংগ্রেস সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ব্লক কংগ্রেস সভাপতি এরশাদ আলি। এ প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এ ব্যাপারে প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য যা বলার বলে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নিবার্চনে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব যা ঠিক করবেন, সেই ভাবেই লড়বেন। প্রদেশ নেতৃত্ব তাঁদের উপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না।’’ আর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীর বক্তব্য, “রাজ্যে বতর্মানে কংগ্রেস দলটার শুধু সাইনবোর্ডে অস্তিত্ব আছে। একক ভাবে লড়লে তাও ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।” এ দিন মশাগাঁ সেতুর উদ্বোধনের পর কাঁথি সেচ দফতরের বাংলোয় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন মানসবাবু। কংগ্রেসের জেলা মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান কনিষ্ক পণ্ডার বাড়িতেও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন তিনি। শনিবার দুলালপুরে অঞ্চল সম্মেলনে কংগ্রস কর্মীরা অভিযোগ করেন, তৃণমূল জোটসঙ্গী হয়েও বিভিন্ন স্থানীয় ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি এরশাদ আলির কথায়, “বিভিন্ন স্কুলের পরিচালন সমিতি, সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে বাদ দেওয়া হচ্ছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি অনুসারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক লড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” প্রতি বুথে একজন মহিলা সমেত দু’জন প্রার্থী বাছাই করে রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক ক্ষিতীন্দ্রমোহন সাহু, প্রাক্তন বিধায়ক শৈলজা দাস, দলের জেলা মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান কণিষ্ক পন্ডা, জেলা সম্পাদক মানস করমহাপাত্র, ধীরেন পাত্র প্রমুখ ছিলেন।
|
কেলেঘাইয়ে কাজ শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
|
নিজস্ব চিত্র। |
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই অববাহিকা নিকাশি প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুর অংশের সংস্কারের কাজের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষের জন্য স্থানীয় বাসিন্দদের সহযোগিতার আবেদন জানান তাঁরা। রবিবারে সবংয়ের চাবুকিয়ার এই উদ্বোধন সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য, জোতির্ময় কর, অর্ধেন্দু মাইতি, ভূষণ দলুই। ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিকরাও। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক ডিভিসন মূল কেলেঘাই নদীর নাঙলকাটা থেকে ঢেউভাঙা পর্যন্ত ২১.৫ কিলোমিটার অংশে সংস্কারের কাজ করবে। বর্ষার আগেই কাজ শেষ করার সময়সীমা রাখা হয়েছে। কাঁথি ডিভিসন করবে নাঙলকাটা থেকে চাবুকিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কাজ। বাকি ১৩.৫ কিলোমিটার করবে তমলুক বিভাগ। নাঙলকাটা থেকে কাজ সোমবার থেকেই শুরুর কথা জানান তাঁরা। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পঞ্চায়েতগুলি দাবি, এর আগে সত্তরের দশকে কেলেঘাই নদী সংস্কারের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও ক্ষতিপূরণের ২৫ শতাংশ টাকা এখনও অনেকে পাননি। তা দ্রুত দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপশি স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে কাজের তদারকি করতে পারেন তার জন্য তদারকি কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
|
এখনও ধরা পড়েনি স্বরূপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত স্বরূপ মাইতিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার দুপুরে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে ফেরার পথে তমলুকের সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী মনীষা মেটাকে (১৮) রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করে নন্দকুমারের পুয়্যাদা গ্রামের স্বরূপ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুপুর ১২টা থেকেই পুয়্যাদা বাজারে ঘোরাঘুরি করছিল সে। পুলিশের অনুমান, উচ্চ মাধ্যমিক শেষে মনীষা বাড়ি ফিরবে জেনেই বাজারে অপেক্ষা করছিল স্বরূপ। আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা করে ধারালো অস্ত্র রেখেছিল কাছে। মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত বলে মাস দেড়েক আগে স্বরূপের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন কাঞ্চনপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্রী মনীষার বাবা উমাশঙ্করবাবু। পুলিশ স্বরূপকে সতর্ক করে দেওয়ার পরেও মনীষার পিছু ছাড়েনি স্বরূপ। প্রতিবেশী রঞ্জিৎ মেট্যা বলেন, “মনীষাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করত ওই যুবক। কিন্তু এমন নৃশংস ভাবে খুনের পরিকল্পনা করছে বলে টের পাইনি। স্বরূপের চরম শাস্তি চাই আমরা।” এ দিকে, এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুয়্যাদা গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব মাইতি, কার্তিক মাইতিরা বলেন, “বাজারে বেশ কিছু যুবক আড্ডার পাশাপাশি নেশাভাঙ করে। স্বরূপ ছিল ওই দলে। স্বরূপ ছাড়াও অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও যেন শাস্তি হয়।”
|
উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
উচ্চ মাধ্যমিকের ১০টি উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলেছিলেন সংস্কৃতের শিক্ষিকা। শেষমেশ ট্রেকার থেকে উদ্ধার হল সংস্কৃতের ওই ১০টি খাতা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমি’র শিক্ষিকা মৌসুমী দে শনিবার খেজুরি গিয়েছিলেন। ব্যাগে ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের খাতাগুলি। খেজুরির বোগা থেকে গোপীচকে আসার সময় ট্রেকারে চাপেন তিনি। তখনই খাতাগুলি হারিয়ে যায়। বিকেলে খেজুরি থানায় এসে মৌসুমীদেবী উত্তরপত্র খোওয়া যাওয়ার কথা জানান। খজুরি থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান ও পুলিশ অফিসার দেবেন্দ্র ত্রিপাঠী তল্লাশি শুরু করে। জানা যায়, সংস্কৃতের ওই উত্তরপত্রগুলি পেয়েছেন বালুঘাটার ট্রেকার মালিক তথা চালক তপন দে। রাতেই বালুঘাটা গিয়ে উত্তরপত্র সমেত ব্যাগটি পুলিশ উদ্ধার করে আনে। উচ্চ মাধ্যমিকের খোওয়া যাওয়া উত্তরপত্রগুলি উদ্ধারগ উদ্ধার হলেও কী করে একজন শিক্ষিকা এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবকমহলে।
|
বিধায়কের স্মরণসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
|
তৃণমূল নেতা অজিত ভুঁইয়া-র স্মরণে সভা দাসপুরের নাড়াজোলে |
তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দলীয় বিধায়ক অজিত ভুঁইয়ার স্মরণসভা হল রবিবার। দাসপুরের নাড়াজোলে এই স্মরণসভায় ছিলেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী, দুই বিধায়ক শঙ্কর দলুই ও মৃগেন মাইতি। গত ১৯ মার্চ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান দাসপুরের তৃণমূল বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া। রবিবার দলের তরফে তাঁর বাড়ির কাছেই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন অজিতবাবুর স্ত্রী মমতাদেবী, জেলা সভাপতি দীনেন রায়, শ্যাম পাত্র, সুকুমার পাত্র-সহ বহু সমর্থক।
|
দূরশিক্ষার পুনর্মিলন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের পুনর্মিলন উৎসব হল শনিবার। ছাত্রছাত্রীরাই আয়োজক। প্রকাশিত হয় ‘পল্লব’ নামে স্মরণিকা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এন কে বর্মা, ডিএফও শক্তিশঙ্কর দে ও বর্ধমান রাজ কলেজের শিক্ষক অসিতবরণ দে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কয়েকশো ছাত্রছাত্রী। তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্মিলন উৎসব কোনও নতুন ধারণা নয়। কিন্তু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগে দূরশিক্ষা বিভাগ চালু হলেও সে ধরনের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। এ বার দূরশিক্ষার উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের এই উদ্যোগে সকলেই খুশি।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ট্রেকারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। রবিবার ভোরে ঘাটালের লক্ষ্মণপুরের ঘটনা। মৃতের নাম কাজল পণ্ডিত (৪৫)। বাড়ি ঘাটালের সোয়াই গ্রামে। রবিবার ভোরে কাজলবাবু হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘাটাল থেকে আসা সোয়াইগামী একটি ট্রেকার ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ট্রেকারটিকে আটক করলেও চালক পলাতক। অন্য দিকে রবিবার সকালে ঘাটাল থানার হেমনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম স্বদেশ মালিক (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বাড়িতে স্বদেশবাবু বিদ্যুতের কাজ করার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
|
গয়না উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
প্রতিমার খোওয়া যাওয়া কিছু গয়না উদ্ধার করল পুলিশ। গত বুধবার ঘাটাল থানার কামারডাঙা সংলগ্ন আনন্দপুর কালী মন্দিরের প্রতিমার কিছু গয়না খোওয়া যায়। শনিবার রাতে ঝুমি নদীর চরে সোনার হার, সোনার দুটি চোখ-সহ কিছু গয়না পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়। কিছু গয়না উদ্ধার হলেও এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|