|
|
|
|
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ফের ধৃত সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃত অর্ণব ঘোষের বাড়ি কেশপুরের আনন্দপুর থানার উত্তর পিয়াশালায়। শনিবার গভীর রাতে ঘাটাল থানার নতুকে এক আত্মীয়বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি-র একটি দল।
বছর সাতাশের অর্ণব দীর্ঘদিন ধরেই ‘পলাতক’ ছিলেন। তাঁকে ‘পলাতক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল মেদিনীপুর আদালত। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য রবিবারই আনন্দপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। এ দিন দুপুরে ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে পালিয়ে বেড়ানোর মামলায় ১৪
ধৃত অর্ণব ঘোষ।
নিজস্ব চিত্র। |
দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কঙ্কাল-কাণ্ডের সওয়াল করতে গিয়ে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ জানান, ঘটনার সময়, অর্থাৎ ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অর্ণবের বয়স ছিল ১৭ বছর ১ মাস। তাই সিআইডি তাঁকে হেফাজতে চাইতে পারে না। বিষয়টি জুভেনাইল আদালতের বিচার্য বিষয়। তথ্যপ্রমাণ হিসেবে অর্ণবের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিড কার্ড আদালতে পেশ করেন আইনজীবী। সেই তথ্য অনুযায়ী অর্ণবের জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৩ অগস্ট। এরপরই আজ, সোমবার অর্ণবকে জুভেনাইল আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
এই নিয়ে দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২১। এঁদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ ৫ জন জামিনে রয়েছেন। মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা আদালতে এই মামলার বিচার চলছে। এখনও চার্জগঠন হয়নি। আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। অর্ণবের বাবা বিমান ঘোষও এই মামলায় অভিযুক্ত। গ্রেফতার হয়ে এখন জেলে রয়েছেন। তবে গড়বেতা থানার দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধারের পর যে ৪০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে বিমান ঘোষের নাম থাকলেও অর্ণবের নাম ছিল না। পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি জানতে পারে, এই ঘটনার সঙ্গে উত্তর পিয়াশালার এই যুবকও জড়িত। তাই চার্জশিটে তাঁর নাম ঢোকানো হয়। গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ৫৮ জনের নামে চার্জশিট দেয় সিআইডি। |
|
|
|
|
|