দুটো টিমই নিজেদের আগের ম্যাচে হেরেছে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে বসে আছে ডেকান চার্জার্স। অন্য দিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পুণে ওয়ারিয়র্স হারিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। তাদের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে। সোমবারের ম্যাচে তাই জয়ে ফেরার জন্য মুখিয়ে থাকবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং ডেকান চার্জার্স দু’দলই।
চোটের জন্য খেলতে পারবেন না সচিন তেন্ডুলকর। কাগজেকলমে সোমবারের ম্যাচের আগে তবুও এগিয়ে মুম্বই। ডেকানের সামনে বাড়তি সুবিধে বলতে একটাই। সোমবার তারা খেলতে নামছে ঘরের মাঠে। মুম্বইকে এ বারের আইপিএলের অন্যতম শক্তিশালী দল বলে ধরা হলেও শুক্রবার সৌরভদের বিরুদ্ধে দিশেহারা দেখিয়েছে হরভজন সিংহদের। বিশেষ করে মুম্বই ব্যাটসম্যানরা কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেননি। ব্যতিক্রম বলতে দীনেশ কার্তিক এবং জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন। তুলনায় এখন পর্যন্ত দুটো ম্যাচেই সফল মুম্বই বোলিং। লাসিথ মালিঙ্গা তো আছেনই। শ্রীলঙ্কা পেসারকে যোগ্য সঙ্গ যুগিয়ে গিয়েছেন মুনাফ পটেল, প্রজ্ঞান ওঝা এবং অধিনায়ক হরভজন। তবে প্রথম চারে থাকতে গেলে শুধু বোলিং দিয়ে চলবে না। ব্যাটসম্যানদেরও অবদান রাখতে হবে। প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ওপেনার রিচার্ড লেভি হাফসেঞ্চুরি করলেও রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, কায়রন পোলার্ডদের ব্যাট এখনও কোনও ঝড় তুলতে পারেনি। এঁদের রানে ফেরার সেরা সুযোগ থাকছে সোমবার। কারণ ডেকানের বোলিং যথেষ্ট দুর্বল। ডেল স্টেইন নামক দক্ষিণ আফ্রিকানকে বাদ দিলে পড়ে থাকছে মনপ্রীত গোনি, অঙ্কিত শর্মা, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, টিপি সুধীন্দ্রদের মতো অখ্যাত কিছু নাম।
প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে উড়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনও দলকেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আইপিএল ফাইভের সবচেয়ে দুর্বল টিমের অন্যতম ডেকান যে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অঘটন ঘটাবে না, ম্যাচ শুরুর আগে সেই ভবিষ্যদ্বাণী করার সম্ভাবনা তাই নেই। দলে আছেন শিখর ধওয়ান, ক্রিশ্চিয়ান, ক্যামেরন হোয়াইট এবং হ্যারিসের মতো কিছু চরিত্র। নিজের দিনে যাঁরা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
|
আইপিএলের প্রথম দুটো ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলে যোগ দিলেন মাহেলা জয়বর্ধনে এবং কেভিন পিটারসেন। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ খেলে আজ সোজা ভারতে চলে এসেছেন দিল্লির দুই বিদেশি ক্রিকেটার। এর ফলে বীরেন্দ্র সহবাগদের দলের ব্যাটিং আরও মজবুত হয়ে গেল। দলে যোগ দিয়েই জয়বর্ধনে আজ বলেছেন, “আইপিএলে এ বারের মরসুমটা ভাল কাটবে বলেই মনে হয়। নিলামের আগেই দিল্লির পক্ষ থেকে টি এ শেখর যোগাযোগ করে বলেছিল, এ বার আমাকে দলে নিতে চায়। আশা করব, নিজের সেরাটা দিতে পারব।” বেঙ্গালুরু ম্যাচের পর সহবাগ বলেছিলেন, “আমাদের বিদেশি ক্রিকেটাররা চলে এলে দলের শক্তি অনেক বেড়ে যাবে।” দিল্লি অধিনায়ক এ বার ভাল কিছু আশা করতেই পারেন দুই তারকা ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড সিরিজে দুই ব্যাটসম্যানই নিজের নিজের দলের হয়ে ব্যাটিং গড়ে সবার উপরে ছিলেন। আইপিএলে প্রথমে বেঙ্গালুরু, তার পরে ডেকান চার্জার্স এবং এ বার দিল্লির হয়ে খেলছেন পিটারসেন। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলছিলেন, “আমাদের দলটা এ বার বেশ ভাল। কলকাতায় জিতে আইপিএলের শুরুটাও ভাল হয়েছে আমাদের। দিল্লির তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে এ বার কিছুটা সময়ও কাটাতে চাই।” দিল্লির পক্ষে আর একটা ভাল খবর হল, দুই বিদেশি ব্যাটসম্যানকে পাওয়া ছাড়া পেসার উমেশ যাদবের সুস্থ হয়ে ওঠা। কোটলায় আগামী ১০ তারিখ চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন উমেশ। |