ফের কম্যান্ডোদের চোখে ধুলো দিয়ে পালালেন জিএনএলএ ‘সেনাধ্যক্ষ’ সোহন ডি শিরা। আজ সকালে, মেঘালয়ে পূর্ব গারো পাহাড়ের বাওগ্রে গ্রামে শিরার ঘাঁটি ঘিরে ফেলে সোয়াট ও কোবরা বাহিনী। খাড়া পাহাড় ও জঙ্গলের মধ্যে দুই পক্ষে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। জওয়ানদের লক্ষ্য করে বেশ কিছু গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। শেষ অবধি গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী দেশের অন্যতম সেরা দুই কম্যান্ডো দলের চোখে ধুলো দিয়ে জিএনএলএ শিবিরের সব জঙ্গিই পালিয়ে যায়। ধরা যায়নি জঙ্গিদের শীর্ষস্থানীয় নেতা ডি শিরাকেও। পরে, গারো জঙ্গিদের ওই শিবিরটিতে তল্লাশি চালিয়ে জওয়ানরা ৬৬টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা, একটি একনলা বন্দুক ও একটি মোবাইল উদ্ধার করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডি শিরা জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএতে অন্যতম শীর্ষ নেতা। তিনি নিজেকে সংগঠনের ‘সেনাধ্যক্ষ’ বলে প্রচার করেন। তাঁকে সব সময়েই ঘিরে থাকে অন্তত জনা পনেরো সশস্ত্র জঙ্গি দেহরক্ষী। আজ সংঘর্ষের আগে শিরা নিজেও শিবিরে ছিলেন বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। কিন্তু এ দিনও তাঁকে ধরা গেল না।
পশ্চিম গারো পাহাড়েও রীতিমতো জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে জিএনএলএ। মেন্দিপথারে সোয়াটবাহিনীর হাতে কম্যান্ডার-সহ চার জঙ্গির মৃত্যুর বদলা নিতে যথেচ্ছ হামলা শুরু করেছে জিএনএলএ। গত কাল আমপাতি গ্রামের লোকিয়াচর গ্রামে ঢুকে জঙ্গিরা দুটি গ্রেনেড ছোড়ে। স্প্লিন্টারের আঘাতে জখম হয় পিয়ারা বেগম নামে এক আট বছরের মেয়ে। পরে তার মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে, গাসুয়াপাড়া এলাকায় স্বঘোষিত এরিয়া কম্যান্ডার বাইচুং মোমিনের নেতৃত্বে জিএনএলএ জঙ্গিরা একটি কয়লা রফতানি সংস্থার ছয় কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএসএফ ঘাঁটি মাত্র ৫০ মিটার দূরে ছিল। অপহৃতরা হলেন, সংস্থার ম্যানেজার বিশ্বজিৎ মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ আশিস জয়সওয়াল এবং চার কর্মচারী বীরেন্দ্র যাদব, মহেন্দ্র যাদব, চন্দ্রেশ্বর রায় ও রোহিত শর্মা। অপহৃতদের খোঁজে পুলিশ চোকপট ও নোকরেক এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। পশ্চিম গারো পাহাড়ের জেলাশাসক প্রবীণ বক্সি, পুলিশ, সিআরপিএফ ও বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে জঙ্গি দমন নিয়ে বিশেষ বৈঠকও করেন। |