ঝাড়খণ্ডে এ বার জঙ্গি গোষ্ঠীর নিশানায় চলে এল খোদ রাজধানী রাঁচিও। পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে রাঁচির বেড়ো থানার জারগাঁওয়ে নির্মীয়মান একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় হানা দেয় সশস্ত্র এক দল যুবক। রাঁচির (শহর) পুলিশ সুপার রঞ্জিতকুমার প্রসাদ জানিয়েছেন, পিএলএফআইয়ের নামে পোস্টার লটকে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ট্রাক তারা জ্বালিয়ে দেয়। এই হামলাকারীরা আদতে ওই জঙ্গি সংগঠনেরই সদস্য কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ডে দীর্ঘ দিন ধরে জঙ্গি সংগঠনগুলির আক্রমণের লক্ষ্য মূলত গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলি। পুলিশ জানিয়েছে, সড়ক নির্মাণ-সহ নানান গ্রামীণ প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামের উপর ধারাবাহিক হামলা চলছে জঙ্গি বাহিনীর। পশ্চিম সিংভূম, সিমডেগা, গুমলা, লোহারডাগা, লাতেহার, পলামু, কোডারমা, চাতরা, গিরিডি, ধানবাদ, খুঁটি, হাজারিবাগ, বোকারো, পাকুড় প্রভৃতি জেলায় গত এক দশকে জঙ্গি হামলায় পুড়েছে বহু ট্রাক এবং ড্যাম্পার। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে রোড-রোলার, পিচ-পাথরকুচি এবং স্টোনচিপ-সিমেন্ট-বালি মেশানোর মেশিন, জেনারেটর-সহ অসংখ্য নির্মাণ সরঞ্জাম। প্রহৃত এমনকী অপহৃতও হয়েছেন নির্মাণকর্মীরা। যার ফলে অনেক জায়গায় হাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
পুলিশ জানায়, অন্যত্র ঘটলেও এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত ছিল ঝাড়খণ্ড রাজধানী তথা রাঁচি জেলা। কিন্তু কাল রাতে রাঁচির বেড়ো থানার জারগাঁও এলাকায় নির্মীয়মান বিদ্যুৎ প্রকল্পে এই জঙ্গি হামলা রাঁচির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তবে জেলা পুলিশের একাংশ কাল রাতের হামলার ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, পিএলএফআইয়ের পোস্টার পাওয়া গিয়েছে ঠিকই। কোনও সংগঠনের নামে পোস্টার পাওয়া মানেই সেই সংগঠনের যোগসূত্র থাকার নিশ্চিত প্রমাণ নয়। কারণ, কোনও দুষ্টচক্র পিএলএফআইয়ের নাম ভাঁড়িয়ে এ কাজ করতে পারে। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |