ওড়িশায় অপহৃতদের মুক্তি নিয়ে টালবাহানা চলছেই। আজ ফের মাওবাদী নেতা সব্যসাচী পণ্ডার একটি অডিও টেপ সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছেছে। ইতালীয় নাগরিক পাওলো বোসুস্কোর মুক্তির বিনিময়ে বেশ কিছু মাওবাদীর মুক্তি চেয়েছিলেন সব্যসাচী। কত জন বন্দি মাওবাদীকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তাঁদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে ক’টি মানা হবে, তা সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ওই টেপে। সব্যসাচী দাবি করেছেন, মাওবাদীদের তরফে প্রথমে ৭ বন্দির মুক্তি দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার জানিয়েছিল, ৬ মাওবাদীকে ছাড়া হবে। এখন সরকার বলছে, মুক্তি দেওয়া হবে মাত্র পাঁচ জনকে। সব্যসাচীর দাবি, সরকার আগে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক। কত জন বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তার তালিকা আগে প্রকাশ করুক। শুধু তা-ই নয়, মাওবাদীদের সংগঠনের উপর সরকার কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা নিয়েও তিনি ওই অডিও টেপে প্রশ্ন তুলেছেন।
সব্যসাচী পণ্ডার এই টেপের কথা জানাজানি হতেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও গত কালই সরকার এবং মাওবাদী-মধ্যস্থতাকারীরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন। আমার মনে হয়, দ্রুত সব সংশয় কেটে যাবে।” এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তার কথায়, “মাওবাদীরা নতুন করে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমরা খুবই অবাক। কারণ, গত কালই বন্দি মুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী বি ডি শর্মা ও দণ্ডপাণি মহান্তির সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। যৌথ বিবৃতিতে সরকার ও মধ্যস্থকারীরা স্বাক্ষর করেছিলেন। এর পরও কেন এমন টেপ প্রকাশ্যে এল, তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।” তিনি আরও বলেন, “বন্দি মুক্তি নিয়ে সব্যসাচীর দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এ সংক্রান্ত সব কিছুই লিখে রাখা হয়েছে।”
এরই মধ্যে, বিধায়ক ঝিনা হিকাকার অপহরণকারী মাওবাদীদের অপর গোষ্ঠী গত কালই একটি অডিও টেপে আরও ৫ মাওবাদীর মুক্তির করার দাবি জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ওই পাঁচ মাওবাদীর মুক্তির ব্যাপারে আইনি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই বিধায়ককের ক্ষেত্রে তাদের শর্ত মানার জন্য মাওবাদীরা ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েছে। |