শপিং মলে নজরদারি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু তাতে বন্দি ছবি নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য সংরক্ষিত থাকে। কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে, তার সিসিটিভি ফুটেজ তাই দেখা যায় সেই সময়ের মধ্যেই। নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যে কোনও ঘটনার অভিযোগ না জানালে পরে আর ছবি পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই এক প্রবাসী দম্পতি ওই মলে তাঁদের গয়নার ব্যাগ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ জানালেও ফুটেজ না থাকায় তদন্ত কার্যত এগোচ্ছে না বলে ওই দম্পতির দাবি।
পুলিশ জানায়, কলকাতায় এসে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সল্টলেকের একটি শপিং মলে যান আমেরিকাবাসী বিজয় ভাট ও তাঁর স্ত্রী পুনিতা জানি। সেখানেই পুনিতাদেবীর ব্যাগ থেকে ১৭-২০ লক্ষ টাকার গয়না খোয়া যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার তিন দিন পরে ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিধাননগর উত্তর থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করলেও পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সময় মতো অভিযোগ না জানানোয় ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আর পাওয়া যাবে না। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ শপিং মল কর্তৃপক্ষ।
ফলে বর্তমান নজরদারি ব্যবস্থা কতটা আধুনিক, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তা ঘিরে। শপিং মল সূত্রে খবর, আরও বেশি দিনের জন্য যাতে ছবি মজুত রাখা যায়, তাই আধুনিক নজরদারি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ওই দম্পতি কেন দেরিতে অভিযোগ জানালেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। বিজয়বাবু বলেন, “গয়নার ব্যাগটি যে খোয়া গিয়েছে, তা পরের দিন খেয়াল করি। কিন্তু পর দিন পূর্বনির্ধারিত একটি কাজ থাকায় দার্জিলিং যাই। ফিরে অভিযোগ দায়ের করতে সময় লাগে।” তাঁর স্ত্রী পুনিতার অভিযোগ, শপিং মল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার বদলে তাঁদেরই অবিশ্বাস করছেন। প্রয়োজনে তাঁরা লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা দিতেও রাজি।
এ দিকে, ওই দম্পতিকে নিয়ে গিয়ে শপিং মলে ঘটনার পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করে পুলিশ। সেখানে এক কর্মীকে সন্দেহভাজন বলে পুলিশকে জানান ওই দম্পতি। তবুও পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছেন না বলে তাঁদের অভিযোগ। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “ঘটনাটি সিটি সেন্টারেই হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ যেমন মেলেনি, তেমন হয়নি এ কথাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। দু’দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |